৯ নভেম্বর ২০২৫ রবিবার
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৩ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

অতীশ দীপঙ্করের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৩ পিএম

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মনীষী অতীশ দীপঙ্করের জ্ঞান, দর্শন, ধর্মচর্চা, কর্ম, শিক্ষা আরো বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে দিতে জন্মভূমি বাংলাদেশে তার নামে একটি বিশ্ব মানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা জেলার আশুলিয়ায় বোধিজ্ঞান কেন্দ্র (বৌদ্ধ বিহার) আয়োজিত কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে মনীষী অতীশ দীপঙ্করের কীর্তি ও বিশ্বব্যাপী খ্যাতিতে আমরা গর্বিত। জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শন চর্চা এবং প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে পূর্ব এশিয়া তথা বিশ্বজুড়ে স্মরণীয় নাম অতীশ দীপঙ্কর। তিব্বতীরা তাকে অতীশ উপাধিতে ভূষিত করেন, যার অর্থ ‘শান্তি’। তিনি একাধারে ধর্মগুরু, শিক্ষক, পণ্ডিত, লেখক, দার্শনিক, বিতার্কিক এবং বাগ্মী।

উপদেষ্টা বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি হলো অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও প্রীতির বন্ধনে সবাইকে আবদ্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষে বুদ্ধের অনুসারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। বুদ্ধের মতে মানুষ মৈত্রী পরায়ণ হবে। মানুষ ক্ষমাশীল এবং ও নির্মোহ হবে। মানুষ মানুষকে শ্রদ্ধা করবে, একে অন্যকে সম্মান করবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের পঞ্চশীল হলো বুদ্ধ নির্দেশিত পাঁচটি মৌলিক নীতি। এ পাঁচটি নীতি মানবতাবাদী ও সার্বজনীন অধিকারমূলক যা মানবজীবনের সুনীতিপরায়ণ হওয়ার জন্য উত্তম শিক্ষা। এসব গুণাবলি অর্জন ও চর্চার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে অন্যায়, অবিচার, অনাচার, অপরাধ, দুর্নীতি বন্ধ হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সর্বদা বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, দেশের সকল বৌদ্ধ বিহারে আশ্বিনী পূর্ণিমার পর হতে কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান কর্ম শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, সকল ধর্মই শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা প্রচার করে আসছে। আমাদের দেশে কোনো ধর্মীয় বিভেদ নেই। সবাই শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানে থেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে যাচ্ছে। কিন্ত আমাদের দেশের এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবীরা সবসময় বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল বীরাক্কোদি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দয়াল কুমার বড়ুয়া, সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শুভাশীষ চাকমা, কর্নেল দিদারুল আলম প্রমুখ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x