সর্বশেষ আট ওয়ানডের মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ওেই বৃত্ত ভাঙতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। আফগানদের টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার মোমেন্টাম নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুরনো রোগ ব্যাটিং ব্যর্থতায় বুধবার রাতে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে আফগানদের কাছে ১৭ বল থাকতে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
উইকেট দেখে ভালো রানের আশায় টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতায়, মিডলে তাওহীদ হৃদয় ও মিরাজ ফিফটি পেলেও ইনিংস বড় করতে না পারায় এবং লোয়ার মিডল অর্ডার তাদের ১০১ রানের জুটিকে পুঁজি করতে না পারায় বাংলাদেশ সাত বল থাকতে ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৩ রানে শুরুর তিন ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জীবন পেয়েও ১০ রান করে আউট হন ওপেনার তানজিদ তামিম। পরেই সাজঘরে ফেরেন ওয়ানডের নেতৃত্বভার হারানো নাজমুল শান্ত (২)। আশা দিচ্ছিলেন টি-২০ দিয়ে আলোয় আসা সাইফ হাসান। ওয়ানডে অভিষেকে ৩৭ বলে পাঁচটি চারের শটে ২৬ রান করে ক্যাচ দেন তিনি।
ধাক্কা সামলানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল হন হৃদয় এবং মিরাজ। তারা ১০১ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ফিফটির পরই সাজঘরে হাঁটা দেন দু’জনই। এর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে হৃদয় ৮৫ বলে ৫৬ করে রান আউটে কাটা পড়েন। ওয়ানডেতে টানা তিন ফিফটি করা এই ব্যাটার তিনটি ছক্কা ও একটি চার মারেন। মিরাজ আউট হন ৮৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে। একটি করে চার ও ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
মিরাজ আউট হওয়ার পর মাত্র ৪৬ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জাকের আলী (১০) ফিরলে দলের বিপদ বাড়ে। দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলতে নেমে নুরুল হাসান সোহান ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। তানজিম সাকিবের ব্যাট থেকে ২৩ বলে ১৭ রানের ইনিংস আসে। তানভীর ইসলাম ১১ রান যোগ করেন।
জবাবে নেমে ৫২ রানের ওপেনিং জুটি পায় আফগানিস্তান। ইব্রাহিম জাদরানকে (২৩) শুরুতে ফেরান বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর। ছয় রানের ব্যবধানে সাদিকুল্লাহ আতালকে (২) আউট করেন তানজিম। কিন্তু রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও চারে নামা রহমত শাহ ৭৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ সহজ করে নেন। রহমত ৭০ বলে দুই চারের শটে ৫০ এবং গুরবাজ ৭৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৫০ রান করে দলের ১৩৬ রানে পরপর আউট হন। বাকি পথটা পাড়ি দেন অধিনায়ক শহিদী ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। এর মধ্যে পেস অলরাউন্ডার ওমরজাই ৪০ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রান করে ফেরেন। শহিদী হার না মানা ৩৩ রান করেন।
বল হাতে আফগান পেস অলরাউন্ডার ওমারজাই এবং লেগ স্পিনার রশিদ খান তিনটি করে উইকেট তুলে নেন। ডানহাতি অফ স্পিনার আল্লাহ গজনফর নেন দুই উইকেট। বাংলাদেশের পেসার তানজিম তিন উইকেট নিলেও তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি।