মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) ছাপার কার্যক্রম এ বছর বন্ধ হয়ে গেলেও পাসপোর্টধারীর তথ্য সংরক্ষণের জন্য চালু থাকবে ডেটাবেজ। এমআরপি ছাপা পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত ডেটাবেজ কার্যক্রম সচল থাকবে বলে জানিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমআরপি পাসপোর্টধারীরা যখন রি ইস্যু করতে আসবেন, তখন এই ডেটাবেজ ই পাসপোর্টের সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত রেখে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নুরুস ছালাম বলেন, আমাদের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের নির্দেশনায়। একজন ই-পাসপোর্টধারীর তথ্য যতটা সহজে সংরক্ষণ করা সম্ভব, এমআরপির ক্ষেত্রে ততটা না। একজন ব্যক্তি একাধিক ই-পাসপোর্ট করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এখন বিশ্বের ১২১ দেশের মানুষ ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। এ কারণে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এমআরপি ছাপার কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেছে মন্ত্রণালয়। আমরা সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
গত জুন থেকে দেশের ৩৪টি পাসপোর্ট অফিসে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের সিস্টেম চালু থাকলেও এমআরপি পাসপোর্টের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দেশের ৩৩টি পাসপোর্ট অফিসে ছাপা বন্ধ আছে এমআরপি। এদিকে বিদেশি ৮০টি মিশনের মধ্য এ পর্যন্ত ৬৯টি মিশনে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এমআরপি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ২০১০ সালে। এরপর ধারাবাহিকভাবে দেশের ৭১টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে এমআরপি ইস্যুর কার্যক্রম চলে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে এমআরপি ছাপানো হয়েছে দুই কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩টি। আর বিদেশি মিশনগুলোতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছাপা হয়েছে এক কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩৭৩টি এমআরপি।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরিতে যৌথভাবে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে মালয়েশিয়ার আইরিশ করপোরেশন ও পোল্যান্ডের পিডব্লিউ কোম্পানি। এমআরপি প্রকল্পটির ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭১০ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার কারণে পরে আরও তিন কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছিল। সূত্র বলছে, বিদেশি ৮০টি মিশনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৯টিতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। বাকি মিশন এ বছরের মধ্যেই ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।