৯ জুলাই ২০২৫ বুধবার
প্রকাশ : ৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ : ৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম

দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের মাঝে ৫০ টন উন্নতমানের পেঁয়াজ বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ডিএপি ও এমওপি সারও।

এবার আগেভাগেই কৃষকের হাতে বীজ তুলে দেওয়ায় চাষাবাদে বিলম্ব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তিনটি বীজ আমদানিকারক কোম্পানির মাধ্যমে আনা এসব বীজ ইতিমধ্যে দেশের ৩৭টি উপজেলায় বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১৩টি উপজেলাতেও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। সব বীজ দেশে পৌঁছেছে এবং কাস্টমস ছাড়পত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা সরাসরি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবছর নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে ওঠে বেশ আলোচনা। দামবৃদ্ধি ও প্রণোদনার পেঁয়াজের বীজে অনিয়মের অভিযোগ থাকে প্রায়ই। গত বছরও প্রণোদনার পেঁয়াজে চারা না গজানোর ঘটনা ঘটেছিল। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা উন্নত বীজ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়, যা বাম্পার ফলনের মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করেছে।

চলতি বছরও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গ্রীষ্মকালীন চাষে প্রস্তুতি আরও জোরদার করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম বলেন, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি মন্ত্রণালয় একাধিক উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে, বীজ সরবরাহ বাড়ানো, চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, হিমাগার নির্মাণ, বাজার ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন এবং গ্রীষ্মকালীন উৎপাদনে গবেষণা জোরদার করা। কৃষক এবার সঠিক সময়ে পেঁয়াজের বীজ হাতে পেয়েছেন। এতে বীজ নিয়ে হাহাকার কিংবা কোনো অনিয়মের আশঙ্কা নেই। উৎপাদিত পেয়াজ সঠিকভাবে সংরক্ষণে সারাদেশে চার হাজার এয়ার-ফ্লো মেশিন বসানো হচ্ছে।

প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন অন্ট্রাপ্রেনারশিপ রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশের (পার্টনার) প্রকল্পের কর্মসূচি সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরি শুরু হবে এবং সেপ্টেম্বর নাগাদ ফসল সংগ্রহ করা যাবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খান জানান, গ্রীষ্মকালীন চাষ বাড়াতে পারলে দেশে পেঁয়াজের চাহিদার বড় একটি অংশ জোগান দেওয়া সম্ভব। তখন বাজারে দামও তুলনামূলক বেশি থাকে, ফলে কৃষক লাভবান হবেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x