৮ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার
প্রকাশ : ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১:৪৭ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমানো সম্ভব: গভর্নর

প্রকাশ : ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১:৪৭ এএম

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সৌদি আরব থেকে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি। দুই দেশের আর্থিক খাত একসঙ্গে কাজ করলে অর্থ পাঠানোর এই খরচ কমানো সম্ভব। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে সৌদি আরব-বাংলাদেশ ব্যবসা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই ব্যবসা সম্মেলনের আয়োজন করেছে সৌদি আরব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসএবিসিসিআই)।

অনুষ্ঠানে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে আন্তদেশীয় বিনিয়োগ ও অর্থ লেনদেন দুটি বড় আলোচ্য বিষয়। বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে লেনদেনের বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস সৌদি আরব। এটি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহেরও সবচেয়ে বড় উৎস।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, সৌদি আরব থেকে প্রবাসীরা তাদের রেমিট্যান্স পাঠাতে ৬ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ দেন। এটি তাদের জন্য বিশাল চাপ। সৌদি আরব থেকে প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের আরও দক্ষ ও কম খরচে অর্থ স্থানান্তরের ব্যবস্থা প্রয়োজন। এ জন্য দুই দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, এখন আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের পথে অগ্রসর হচ্ছি। ফলে এই অঞ্চলে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অসংখ্য সম্ভাবনা রয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত সহনশীল রাষ্ট্র—প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক, বৈশ্বিক নানা ধাক্কা সত্ত্বেও আমাদের প্রবৃদ্ধি কখনোই নেতিবাচক হয়নি।

গত ৩০ বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি কখনোই সাড়ে তিন শতাংশের নিচে নামেনি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, কোভিড কিংবা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা—কোনো কিছুই আমাদের অর্থনৈতিক গতিকে থামাতে পারেনি। এ কারণে আমি সৌদি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানাই, তাঁরা যেন বাংলাদেশকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন এবং দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করেন।

গভর্নর আরও বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক অনেক পুরোনো ও দৃঢ়। তবে অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও গভীরতা আনা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমরা এখনো যথেষ্ট পরিমাণে কাজ করিনি। যেমন বাণিজ্য, অর্থনীতি, আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা ও শ্রমবাজারের উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করা প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও রয়েছে, তবে সেগুলো সমাধান করা সম্ভব।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা চাই সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবন আরও উন্নত হোক, তাদের আয় বৃদ্ধি পাক। অন্যদিকে, সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) মতো বিশাল তহবিল থেকে বাংলাদেশও যেন বড় প্রকল্পে বিনিয়োগের সুযোগ পায় সেই অনুরোধ থাকবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x