বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষিত সরকার, এখন ছিল আস্থার সরকার। এ সরকারের কাছ থেকে আমরা কিছু পাইনি। এ সরকারের মধ্যে বেশির ভাগ (উপদেষ্টা) এ দেশের নাগরিক নন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণমানুষের আকাঙ্ক্ষিত আস্থার একটি প্রতীক ছিল সরকার। কিন্তু ৯ মাসের কার্যক্রমে আমরা কিছু পাই নাই। শুধু পেয়েছি অবজ্ঞা। এ দেশের মানুষকে সরকার অবজ্ঞা করছে। এই সরকারের মধ্যে যারা আছে, আমি বলি এই সরকার ঔপনিবেশিক সরকার। এই সরকারের মধ্যে যারা আছে অর্থাৎ ৯০ ভাগই এদেশের নাগরিক নয়।
তিনি বলেন, তারা (অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা) বলেন সংস্কার করে নির্বাচন দেবেন। কিন্তু তারা ৯ মাসে সংস্কার করতে পারেননি, ৯ বছরেও পারবেন না। তারা কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন, কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটি তারা জানেন। এভাবে চলতে থাকলে আওয়ামী লীগ যা ক্ষতি করেছে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করবে। সুতরাং নির্বাচন অবশ্যই দরকার।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগ ও ফরিদপুর অঞ্চলের সমন্বয়ে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা শীর্ষক এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
তিন বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে প্রশ্ন করেছিলাম সেন্টমার্টিন, সাজেকে কী হচ্ছে? সরকার এটা একটু আমাদের কাছে স্পষ্ট করুক। আজও সরকার স্পষ্ট করেনি। আজকে করিডর নিয়ে কথা হচ্ছে। করিডোরে লাভ কী, লস কী সেটা দেখার দরকার নেই? আমরা যেমন ছিলাম তেমন থাকতে চাই না। এরচেয়ে বেশি কিছু আমাদের দাবি নেই। করিডোরের কোনো প্রশ্নই আসে না। আপনারা মনে করছেন আমরা বুঝি না? আমরা বুঝি। দেশের মানুষকে বোকা ভাববেন না।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক মানুষের ভিতরে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। আমরা কথা বললেই কাজ শেষ করার কথা বলেন। আমরা জানি, কোনো কাজ শেষ করতে পারবেন না। এ সরকারের মাথা থেকে আগা পর্যন্ত পচন ধরেছে। এসময় কিছু লোক ইচ্ছাকৃত চাঁদাবাজি করছে, এদের প্রতিহত করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।