আর্জেন্টিনার নতুন সেনসেশন ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়ানো। ১৭ বছর বয়সেই বিশ্বের বড় সব ক্লাবের রাডারে চলে এসেছেন রিভারপ্লেটের এই তারকা। রিয়াল মাদ্রিদ এবং প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের মাঝে মাস্তানতুয়ানোকে নিয়ে চলছে লড়াই। এরইমাহে শুক্রবার চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হলো তার। আর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই এদিন মাস্তানতুয়ানো নতুন রেকর্ড। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে কোনো অফিসিয়াল ম্যাচে অংশ নেওয়া কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় এখন এই তরুণ।
মূলত দলের একাধিক খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি ছিল এই ম্যাচে। কোচ লিওনেল স্কালোনি আগেই বলেছিলেন এই ম্যাচে তরুণদের সুযোগ তিনি দিতে চান। পুরো স্কোয়াডে একাধিক তরুণ ছিলেন। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে জুলিয়ানো সিমেওনের পরিবর্তে মাঠে নামেন মাস্তানতুয়ানো। আর তাতেই আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে কম বয়েসে অফিসিয়াল ম্যাচে খেলা খেলোয়াড় হয়ে যান মাস্তানতুয়ানো।
১৭ বছর ৯ মাস ২২ দিন বয়সে স্কালোনির অধীনে দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ডাক পাওয়া খেলোয়াড় মাস্তানতুয়ানো। এর আগে ২০২২ সালের মার্চে ১৭ বছর ১৩ দিন বয়সে ফ্রাঙ্কো কারবোনি ডাক পেলেও অভিষেক হয় দুই বছর পর। আজকের ম্যাচের দলে জায়গা করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে ফাকুন্দো বুয়ানোনোত্তে (১৮ বছর ৫ মাস ২৭ দিন) ও আলেহান্দ্রো গারনাচোকে (১৮ বছর ১১ মাস ১৪ দিন) পেছনে ফেলেন মাস্তানতুয়ানো।
মাস্তানতুয়ানো তার অভিষেকের দিনে পেছনে ফেলেছেন হুয়ান সারনারিকে। ১৮ বছর হওয়ার এক মাস পর ১৯৬০ সালের প্যান আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপে কোস্টারিকার বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। আর সব ধরনের ম্যাচ ধরলে রেকর্ডটি ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনার। মাত্র ১৬ বছর ৩ মাস ২৮ দিন বয়সে ১৯৭৭ সালে লা বোম্বোনেরায় হাঙ্গেরির বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে প্রথমবার জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। মাস্তানতুয়ানো এখন সেই তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে।
ম্যাচ শেষে মাস্তানতুয়ানো প্রসঙ্গে স্কালোনি বলেন, ফ্রাঙ্কো ভালো আছে, খুশি আছে। গত কয়েক দিন আমরা তাকে একটু আলাদা রাখতে চেয়েছি। বেশি কথা বলিনি, সত্যি বলতে আমরা তার সঙ্গে খুব কমই কথা বলেছি। কারণ, এমন বয়সে প্রথম অভিজ্ঞতা খুব আবেগপূর্ণ হয়, আর যদি কোচ এসে কথা বলে, তাহলে চাপ আরও বেড়ে যায়। তাই আমরা তাকে নিজের মতো থাকতে দিয়েছি।