আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অস্ট্রিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গ্রাজের (রাজধানী ভিয়েনা থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে) একটি স্কুলে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ০৯ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে এঘটনা ঘটে। গ্রাজ শহরের মেয়র এলকে কার বলেন, এটি একটি ‘ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’। এঘটনায় এখন পর্যন্ত ০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অনেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থী এবং স্টাফ নিহত হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, হামলাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।
অস্ট্রিয়ার শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ক্রোনেন জাইতুং জানিয়েছে, কমপক্ষে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা জানায়নি, তবে নিশ্চিত করেছে যে ‘কয়েকজন’ নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী ছিল, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। স্কুলের বাইরে একটি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয় পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, এলাকাটি নিরাপদ করা হয়েছে। স্কুল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি অস্ট্রিয়ান একটি টেলিভিশনকে জানান, জনগণের জন্য আর কোনো বিপদ নেই, তবে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
ক্রোনেন জাইতুং আরো জানায়, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একটি বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এতথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রয়েছে। স্মল আর্মস সার্ভের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রিয়ায় প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৩০ জনের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। মেশিনগান ও পাম্প অ্যাকশন বন্দুক নিষিদ্ধ থাকলেও রিভলবার, পিস্তল ও সেমি-অটোমেটিক অস্ত্রের মালিকানা শুধু সরকারিভাবে অনুমোদিত। এছাড়া রাইফেল ও শটগানের মতো আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স শুধু শিকার অথবা শুটিং ক্লাবের সদস্যদের জন্য অনুমোদিত।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, ডয়চে ভেলে