বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে। সেই টাকা বাংলাদেশের ৫ বছরের ৫টি বাজেটের সমতুল্য। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বীমা পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঈন খান বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করে নিয়ে গেছে, সে কি বুঝবে? এই অঙ্কটা সে কিছু বুঝবে, কত টাকা? বাংলাদেশের যারা খেটে খাওয়া মানুষ, তাদের উপলব্ধির জন্য আমি একটু সহজ বাংলায় বলি তারা যে পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে বিগত ১৫ বছরে, এই টাকা দিয়ে ১০০টি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। যে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে আওয়ামী লীগ, সেই টাকা বাংলাদেশের ৫ বছরের ৫টি বাজেটের সমতুল্য। এগুলো কার টাকা লোপাট করেছে? এই দেশের দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের টাকা, তাদের নিজের টাকা না।
আব্দুল মঈন খান আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, রাজনীতি মানুষের জীবনে কোনো আবেদন রাখবে না, যদি না সেই রাজনীতি মানুষের জীবনধারার ভাগ্য উন্নয়নে অবদান রাখতে না পারে। এ দেশের দরিদ্র মানুষের যদি ভাগ্যের উন্নয়ন না হয়, তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন না হয়, তারা যদি একটি সুন্দর জীবন নিয়ে গড়ে উঠতে না পারে, তাহলে এই রাজনীতি মূল্যহীন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিগত ১৫ বছরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। তবে একটি অপবাদ দিতে পারেনি যে শহীদ প্রেসিডেন্ট দুর্নীতিবাজ এবং অসৎ মানুষ ছিলেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। এটা যদি করতে না পারি, তাহলে আমরা কখনোই বাংলাদেশকে উন্নতি করতে পারব না। আমরা যত সংস্কারই করি না কেন, যতক্ষণ সমাজ থেকে দুর্নীতি মুক্ত করতে না পারব, ততক্ষণ কিছুই হবে না। সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
দুর্নীতির ফলে কিছু মানুষ লাভবান হয়, তারা হলো দুর্নীতিবাজরা। আমরা যদি দেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করি, তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করি, তাহলেই আমাদের দেশ উন্নত হবে, দেশের অর্থনীতির উন্নতি হবে। জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বীমা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।