৮ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৫১ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনা নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৫১ পিএম

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম দফায় বাতিল হওয়ার পরও পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বেশি দামে বিলাসবহুল গাড়ি কেনার প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, এ ধরনের কেনাকাটার পেছনের কারণ অনুসন্ধানও জরুরি। সমালোচনার মুখে প্রথম প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর এবার আরও বেশি দামে গাড়ি কেনার নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।

টিআইবির মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময়কার মতোই কিছু আমলার পরবর্তী সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রীদের প্রতি তোষামোদি আচরণের ন্যক্কারজনক পুনরাবৃত্তি। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এক শ্রেণির অতি উৎসাহী স্বার্থান্বেষী আমলাদের প্রস্তাব অনুযায়ী গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। যা সুবিধাবাদী আমলাদের প্রভাববলয় প্রতিষ্ঠার যে চর্চাকে পতিত সরকারের আমলে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিব্রতকর ও আত্মঘাতী উদাহরণ। এ ধরনের সিদ্ধান্তকে অবিবেচনাপ্রসূত উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল করার দাবিও জানান তিনি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আইন অনুযায়ী একজন মন্ত্রী সরকারিভাবে সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিগত সময়ে মন্ত্রীরা এবং বর্তমানে উপদেষ্টারা গাড়ি ব্যবহার করছেন। হঠাৎ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইন বহির্ভূতভাবে ভবিষ্যতের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার কেনার জন্য আগ্রহী কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। সরকারের এ জাতীয় আগ্রহের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।

অন্তর্বর্তী সরকার গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিলেও তা পরবর্তী সরকারের মন্ত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের ব্যয় সংকোচনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের পরিপন্থি এ ক্রয়ের মাধ্যমে এমন স্ববিরোধী পথে সরকার কেন যাচ্ছে? এটি কি জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্র সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকারের স্ববিরোধী আচরণ বলে বিবেচিত হবে না? এর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে কে বা কারা নেবেন?

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের এমপিদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা বিলাসবহুল অব্যবহৃত গাড়িগুলো কমদামে পাওয়া যাবে এবং বিদ্যমান গাড়িগুলো দিয়ে নির্বাচনী এলাকা সফর বা জরুরি কাজ করা কষ্টসাধ্য হবে- এ যুক্তি দেখানো হয়েছে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x