অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক এবং পরবর্তীতে নির্বাচনমুখী পরিকল্পনা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্টে রীতিমতো কটাক্ষমূলক মন্তব্য করেছেন দলটির আরেক প্রভাবশালী নেতা নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী। মন্তব্যে তিনি হাসনাতকে বলেন, ‘আগে মেম্বার ইলেকশনে জিতে দেখাও’।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়ামূলক স্ট্যাটাস দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এরপর এই স্ট্যাটাসেরই কমেন্টে কটাক্ষমূলক কমেন্ট করেন নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী। হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুধুমাত্র একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য গঠিত হয়নি। এটি একটি অভ্যুত্থানের পর গঠিত সরকার যার দায় রয়েছে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের। তাই জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দায়িত্বচ্যুতির নামান্তর।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, প্রশাসন প্রভাবিত করা, পেশিশক্তির প্রদর্শন যেভাবে দেখা যাচ্ছে, তাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন এপ্রিল হোক বা ফেব্রুয়ারিতে, তার আগে প্রয়োজন দৃশ্যমান সংস্কার।
হাসনাতের ওই পোস্টে মন্তব্য করেন এনসিপির প্রভাবশালী নেতা নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি তার মন্তব্যে বলেন, হাসনাত, ভোটে জেতা এতো সহজ? মেম্বার ইলেকশন করলেও তো জিতবা না। আগে মেম্বার ইলেকশনে জিতে দেখাও। এরপর নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারীর ওই মন্তব্যের জবাব দিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আপনাদের সরকারকে মেম্বার ইলেকশন দিতে বলেন আগে।
এদিকে হাসনাতের পোস্টে নাসিরউদ্দিনের এই কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে পোস্টের কমেন্টে সমালোলোচনার ঝড় উঠে। অনেকেই বলছেন, নাসিরের এমন মন্তব্যে এনসিপির অভ্যন্তরীণ বিভাজন আবারও সামনে চলে এসেছে। মাহমুদ হাসান নামক একজন লিখেন, নির্বাচনে কে জিতবে না জিতবে সেটা আগেই ডিসাইড করো? পতিত সরকারের মত তোমাদের অবস্থা যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাইখো! পূর্বে পতিত সরকারও তোমাদের মত নির্বাচনের আগে কে ক্ষমতায় বসবে না বসবে সেটা ডিসাইড করে ফেলতো।
আজম আলী নামক আরেকজন বলেন, হাসানাত সঠিক বলেছে, নির্বাচনের জন্য দেশে বিপ্লব হয়নি। বর্তমানে যদি বিপ্লবী সরকার গঠন না করে নির্বাচন দেয়, তাহলে যে ছাত্র জনতা জীবন দিল পঙ্গু হয়ে গেল তাদের কপালে আর দুঃখ কষ্ট আছে এবং তা বহন করতে হবে। ঐ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ সহজ হবে না।