৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার
প্রকাশ : ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১:৪১ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

আজাদ কাশ্মীরে উত্তেজনা, আলোচনার উদ্যোগ

প্রকাশ : ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১:৪১ এএম

আইনশৃঙ্খলা ও আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীর অঞ্চলে আটজন নিহত হয়। এর পর এ ইস্যুতে নড়েচড়ে বসেছে ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজাদ কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও আলোচনার জন্য আট সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন।

কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন শাহবাজ নিজে। বাকি সাত সদস্যের মধ্যে আছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভার চার সদস্য, ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বৃহত্তম শরিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কেন্দ্রীয় নেতা রাজা পারভেজ আশরাফ ও কামার জামান কাইরা এবং আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক প্রেসিডেন্ট সরদার মাসুদ খান। এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকবেন আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোরুল হকও। বিক্ষোভ শুরুর আগে থেকেই তিনি আজাদ কাশ্মীর ছেড়ে ইসলামাবাদের কাশ্মীর হাউসে বসবাস করছেন।

আজাদ কাশ্মীরের আন্দোলনকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শাহবাজ। এ ছাড়া আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ-সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজাদ কাশ্মীরের জনগণকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, নড়বড়ে শিক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবা কাঠামো এবং রাজনীতিবিদ, আমলা ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের পাওয়া সুবিধা ও বিশেষ অধিকারের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে আজাদ কাশ্মীরে। হাজার হাজার মানুষ এতে যোগ দিয়েছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক দল জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে (পিওকে) চলমান বিদ্রোহে দেশটির সেনাবাহিনী ও সরকারের অবস্থানকে ‘মানুষ হত্যায় বেপরোয়া এক ডাইনির সঙ্গে’ তুলনা করেছেন আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির (এএসি) জ্যেষ্ঠ নেতা শওকত নবাজ মীর। তিনি অভিযোগ করেন, ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি যে জনগণের প্রতিনিধিত্বের দাবি করে, আসলে সেই জনগণকেই দশকের পর দশক ধরে শোষণ ও দমন করছে। মীর ঘোষণা দেন, কথিত ‘আজাদ কাশ্মীর’ আদৌ মুক্ত নয়, বরং দীর্ঘ শৃঙ্খলিত দাসত্বে আবদ্ধ।

এএসি নেতা অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের শাসকরা যেসব অপরাধের দায়ভার অন্যের ওপর চাপায়, আসলে নিজেরাই সেই নৃশংসতার জন্য দায়ী। সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বিতর্কিত বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মীর বলেন, তারা ভারতের হিন্দুদের ‘কাফের’ বলে অভিযোগ তোলে, অথচ তাদেরই হাত কাশ্মীরিদের রক্তে ভেজা।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x