দেশের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন দাবি করেছেন, গত বছরের আগস্টে মুক্তি পাওয়ার আগে আড়াই বছর তাকে আয়নাঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সুব্রত এই দাবি করেন।
হাতিরঝিল থানায় দায়ের অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইন (৬০), আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৪), আরাফাত ওরফে শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়। আদালতে পুলিশ তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করে। আদালত কক্ষের ভেতরে সাংবাদিকদের সুব্রত বলেন, ২০২২ সালে আমার চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমাকে আড়াই বছর ধরে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর আমি মুক্তি পাই।
তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে মাথায় লোহার রড আঘাত করা হয়েছে। আমি নাকি চুরি, ছিনতাই করি। এখন কত কী বানায়! আমার কোনো পাওয়ার দরকার নেই। আমি চাইলে নিজেই টিভি চ্যানেল চালাতে পারতাম, সাংবাদিকদের রাখতাম, বলেন সুব্রত।
তিনি নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি বাঁচার জন্য অস্ত্র রাখি। যদি কেউ বলে যে আমার কাছে অস্ত্র নেই, তাহলে তা পুরোপুরি মিথ্যা। সুব্রত সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিকতা না করার আহ্বান জানান। তার বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন এজলাসে এসে শুনানি শুরু করেন। আদালত সুব্রতের জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে আট দিনের রিমান্ডে দেন।