শারজাহের রাতটা শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশের। ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একসময় কঠিন চাপের মুখে পড়েছিল তারা। টপ অর্ডারের বিপর্যয়ে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। কিন্তু মাঝের ওভারে জাকের আলী, শামীম হোসেন এবং শেষ দিকে নুরুল হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে যায়। ১৯.১ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫০ রান তুলে বাংলাদেশ ২ উইকেট হাতে রেখে দাপুটে জয় নিশ্চিত করে ম্যাচ ও সিরিজ।
এর আগে শুক্রবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচে টসে জিতে আফগানিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। সিরিজে ফেরার লড়াইয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা খারাপ হয়নি আফগানদের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের পুঁজি পায় রশিদ খানের দল।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আজ জিতলে ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত হবে টাইগারদের। অন্যদিকে আফগানিস্তানের জন্য এটি সিরিজে ফেরার ম্যাচ। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতাল ও ইব্রাহিম জাদরান। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৫ রান যোগ করলেও কোনো উইকেট হারায়নি আফগানরা। তবে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকেন আতাল ও জাদরান।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে বল হাতে নিজের প্রথম ওভার করতে আসেন রিশাদ হোসেন। তার ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৫০ রান পূর্ণ করে আফগানিস্তান। পরের বলেই রিশাদ এনে দেন ব্রেক থ্রু। বড় শট খেলতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন সেদিকুল্লাহ আতাল। বল তালুবন্দি করতে কোনো ভুল করেননি পারভেজ ইমন। ফেরার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৩ রান।
এক প্রান্ত আগলে রেখে দেখেশুনে ব্যাট করছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। কিছুটা ধীরগতিতেই রান তুলছিলেন তিনি। তবে ৩৭ বলে ৩৮ রান করা এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ। পরের ওভারেই ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে ফেরান রিশাদ। সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪ বলে ১ রান।
দ্বারউইশ রাসুলি টিকতে পেরেছিলেন মাত্র ৯ বল। ১৪ রান করা এই ব্যাটারকে পারভেজ হোসেন ইমনের ক্যাচ বানান নাসুম। রহমানুল্লাহ গুরবাজকে বোল্ড আউট করে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ফেরার আগে ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৩০ রান।
এরপর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবি। ১৭ বলে ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন আজমতউল্লাহ। আরকে প্রান্তে ১২ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন নবি। বাংলাদেশের হয়ে নাসুম ও রিশাদ নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া শরিফুল নেন ১ উইকেট।