সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবারও বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি কোনো দল বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) স্টেশন হেডের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের পরামর্শে কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তবে সেটা চলবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন হাসনাত।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হাসনাত লেখেন, RAW-এর স্টেশন হেডের সঙ্গে মিটিং করে তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না। তার এ স্ট্যাটাসের পর কে বা কারা ‘র’ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তা নিয়ে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তার স্ট্যাটাসেই নাম উল্লেখ করা এবং বিস্তারিত বলার দাবি জানান মন্তব্যকারীরা। তবে স্পষ্ট করে কোনো কিছু জানা যায়নি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন হাসনাত।
গত ২০ মার্চ দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাত বলেন, আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝতার বিনিময়ে আমরা যেন এ প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদের বলা হয়, এরই মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো।
আমাদের আরও বলা হয়, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে। আমাদের এ প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তাৎক্ষণিক বিরোধিতা করি এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করার কথা জানাই, যোগ করেন হাসনাত।
এর মধ্যে ঢাকাসহ দেশের দু-একটি স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের প্রেক্ষাপটে গত ১৫ এপ্রিল আরেক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী বিরোধী অবস্থান এবং কম্প্রোমাইজের রাজনীতির বিরোধিতাকে শিষ্টাচারবহির্ভূত বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে।
যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করছি, অতি শিঘ্রই আওয়ামী লীগ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসুন। না হলে আপনারা করবেন কম্প্রোমাইজের রাজনীতি, আর আমি করব শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। আমি শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না। সাবধান হয়ে যান।