১ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ৮:১৫ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

ইংল্যান্ড সিরিজে আম্পায়ারিং নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ ভারতের

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ৮:১৫ পিএম

ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার চলমান সিরিজজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে ডিউক বল। কয়েক ওভার পরই আকার পরিবর্তনের অভিযোগ তুলে বারবার বল পরিবর্তনের দাবি জানাতে দেখা গেছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সফরকারীরা এবার আম্পায়ারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। ওভালে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট শুরু হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানায়, লর্ডসে (তৃতীয় টেস্ট) ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১০ ওভার পরই বলের আকার এমন অবস্থায় পৌঁছায় দেখে মনে হয়েছিল ৩০-৩৫ ওভার পুরোনো। ফলে সেটি বদলানোর দাবি জানালেও, আম্পায়াররা বলেন তাদের স্টকে ১০ ওভারে ব্যবহৃত আগের কোনো বল নেই। ভারতীয়রা মনে করছেন, তাদের শক্ত বলের পরিবর্তে নরম ও পুরোনো বল দেওয়া হয়েছিল। যা প্রথম ১০ ওভারে অনেক সুইং ও সিম মুভমেন্টের সুবিধা দেয় তাদের। পরবর্তীতে সেটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড ২২ রানে জিতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে লিড এনে দেয়।

ওই প্রতিবেদনে ভারতীয় দলের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘লর্ডসে ১০ ওভার শেষ হতেই ডিউক বলের আকার পাল্টে যায়। যা এই সিরিজে বারবারই দেখা গেছে। বল আম্পায়ারের কাছে থাকা রিংয়ের ভেতর দিয়ে যেতেও ব্যর্থ হচ্ছিল। কিন্তু আম্পায়ারের কাছেও ১০ ওভার খেলা হয়েছে এমন পুরোনো বল ছিল না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ভারতকে ৩০-৩৫ ওভারের পুরোনো বল তুলে দেওয়া হয়।’

আম্পায়ারের দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময়ের স্কোরবোর্ড দেখুন, খেলাটাই পাল্টে গেছে। বোলাররা তাদের সুইং পাচ্ছিল না এবং ইংল্যান্ডও অনেক সহজে রান তুলছিল। যখন আপনি বল পরিবর্তনের আবেদন করবেন, আপনাকে নিশ্চয়ই পরিবর্তিত বল কতটা পুরোনো সেটি বলা হবে না। লর্ডসেও আমাদের ৩০-৩৫ ওভারের পুরোনো বল দেওয়ার কথা জানানো হয়নি। যদি আমাদের বলা হতো, আমরা সেই ১০ ওভার ব্যবহৃত বল দিয়েই খেলা চালিয়ে নিতাম। আইসিসির এখানে হস্তক্ষেপ করা উচিৎ, এই নিয়ম বদলানো উচিৎ।’

বল পরিবর্তনের আগে ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ মাত্র ১৪ বলেই তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এরপর মোমেন্টাম চলে যায় ইংলিশদের দিকে। পুরোনো বল হাতে পাওয়ার কিছুক্ষণ বাদেই আবার শুভমান গিলরা আগের ১০ ওভার করা বল ফেরত চান। তখন আম্পায়ারদের পক্ষ থেকে তাদের বল পরিবর্তনের নিয়ম স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।

বল পরিবর্তনের পর সুইংয়ের মাত্রায় কেমন তারতম্য ছিল সেই চিত্র তুলে ধরেছিল ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তাদের তথ্যমতে– নতুন বলে সুইং হচ্ছিল ১.৮৬৯ ডিগ্রি এবং সিম ছিল গড়ে ০.৫৭৯ ডিগ্রি। পরবর্তিত বল নেওয়ার পর ভারতীয় বোলাররা ০.৮৫৫ সুইং এবং ০.৫৯৪ ডিগ্রি সিম মুভমেন্ট পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, লর্ডস টেস্টে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ও অস্ট্রেলিয়ার পল রাইফেল।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x