ইকুয়েডরের এল এমপালমে এলাকায় বারে বন্দুক হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। হামলায় আরো ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।
স্থানীয় সময় রাতের দিকে ‘লা ক্লিনিকা’ নামের বারে দুটি পিকআপে আসা বন্দুকধারীরা পিস্তল ও রাইফেল নিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। পরে তারা পালানোর সময় আরেক দল মানুষের ওপরও গুলি চালায়।
পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে এক কিলোমিটার দূরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৪০টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে তদন্তদল। খবর বিবিসির।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, বন্দুকধারীরা হামলার সময় ‘অ্যাকটিভ ওলভস’ বলে চিৎকার করছিল- যা স্থানীয় একটি মাদকচক্রের নাম হতে পারে। হামলার এলাকা গুয়ায়াস প্রদেশ। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই এই প্রদেশের প্লায়াস এলাকায় একটি বারে পুল খেলতে থাকা ৯ জন হামলায় নিহত হন।
প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া গত বছর মাদকচক্রের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করার পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা চরমে পৌঁছেছে।
২০২৪ সালে ইকুয়েডরে হত্যা হার ছিল প্রতি লাখে ৩৮ জন।২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ৪,০৫১টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়। বিশ্বে উৎপাদিত কোকেনের প্রায় ৭৫ শতাংশ ইকুয়েডরের মধ্য দিয়ে পাচার হয় বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র।