গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। জানা গেছে, গেল মাসে ইরানে হামলার জন্য মোতায়েন করা ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো অভিযান শেষে ফেরার পথে অব্যবহৃত বোমাগুলো ফেলত গাজা উপত্যকায়।
ইসরাইলি বিমান বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার (৩ জুলাই) ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম মারিভ জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য পাঠানো ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো কেবল আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত ছিল না, বরং আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অস্ত্রও ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযান শেষ করার পর, কিছু পাইলট গাজার যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দিকে ফিরে যেতেন এবং উত্তর গাজা উপত্যকা ও দক্ষিণ খান ইউনিস গভর্নরেটে দখলদার বাহিনীকে ‘সহায়তা’ করার জন্য অব্যবহৃত বোমা ফেলে দেয়ার প্রস্তাব দেন। এতে আরও জানানো হয়, ওই সময় পাইলটদের পরামর্শকে স্বাগত জানানো হয়েছিল এবং একপর্যায়ে এটি ‘নিয়মিত হয়ে ওঠে’।
এমনকি ইসরাইলি বিমান বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল টোমার বার, বাহিনীর সমস্ত স্কোয়াড্রনে এই উদ্যোগটি সম্প্রসারণ এবং এটিকে একটি প্রোটোকল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রতিবেদন অনুসারে, ১৩ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে ফিরে আসা কয়েক ডজন ইসরাইলি যুদ্ধবিমান প্রতিদিন গাজার ওপর দিয়ে উড়েছে এবং সেখানে শত শত বোমা ফেলা হয়।
ইসরাইলি বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তার ভাষ্য, নতুন করে উড্ডয়নের পর হামলা চালানোর পরিবর্তে, যেসব বিমান ইতোমধ্যেই আকাশে ছিল, তারাই অভিযান পরিচালনা করেছে। এদিকে, ইসরাইলের সামরিক বাহিনীও স্বীকার করেছে যে গত মাসে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের সময় গাজায় ভারি বিমান হামলা চালানো হয়।