ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনো ‘শত্রু রাষ্ট্রের’ সঙ্গে সহযোগিতা করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, এমনই কঠোর আইন পাস করেছে ইরান। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দেশটির সংসদে নতুন এ আইন সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম, গুপ্তচরগিরি কিংবা সামরিক, অর্থনৈতিক বা প্রযুক্তিগত সহায়তা ‘পৃথিবীতে দুর্নীতি’র (corruption on earth) অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
বিশেষভাবে ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করে আইনটিতে বলা হয়েছে, দখলদার রাষ্ট্রটির সঙ্গে সামান্যতম যোগাযোগ থাকলেই ‘জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে গণ্য হবে। এমনকি কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে যে তিনি ইসরায়েলের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন বা কোনোভাবে সমর্থন জানিয়েছেন, তাকেও সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এছাড়া, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তেহরান। স্টারলিংকসহ অন্যান্য অননুমোদিত ইন্টারনেট সরঞ্জাম আমদানি, বিক্রি বা নিজের কাছে রাখাও এখন একটি গুরুতর অপরাধ। কেউ এ অপরাধে অভিযুক্ত হলে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং যদি কেউ ১০টির বেশি যন্ত্র উৎপাদন বা আমদানি করে, তাহলে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাত ও যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপটে জি৭ ভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতিতে ওই যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এ বিষয়ক আলোচনা চলছে। ইরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলেও, ইসরায়েল ও তার মিত্ররা আশঙ্কা করছে, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোতে পারে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি হামলার জবাবে ইরান যে পাল্টা প্রতিশোধ নিয়েছে, তা বিশাল ক্ষতি ডেকে এনেছে বলেও দাবি করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। ইরানি সংবাদ সংস্থা ডেফা প্রেসের বরাত দিয়ে মেহের বার্তা সংস্থা জানায়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ৩১ হাজার ভবন ও চার হাজার যানবাহন ধ্বংস বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।