নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
ঈদুল আজহারে দ্বিতীয় দিনে রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গাজীপুরের শ্রীপুরের গাজীপুর সাফারি পার্কে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। রোববার দুপুর ১২টায় সাফারি পার্কের প্রধান ফটকে দেখা যায়, শত শত দর্শনার্থী টিকিটের অপেক্ষায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। পার্কের প্রবেশ ফটকের বাইরে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
ফটকের কাছে ব্যক্তিগত ও ভাড়ায় চালিত গাড়ি পার্ক করে রাখা। ফটকের বাইরে ঘোড়ার গাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। আছে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিট ফুডের দোকান। প্রধান ফটক পেরিয়ে পার্ক অফিসের পশ্চিম পাশে আফ্রিকান বিভিন্ন ধরনের প্রাণী দেখার জন্য কোর সাফারির অবস্থান। সেখানেও লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দর্শনার্থীরা টিকিট কাটছেন। কোর সাফারির প্রবেশ ফটকে বিশেষ ধরনের ৮টি মিনিবাস দাঁড়ানো। কিছুক্ষণ পরপর দর্শনার্থীদের নিয়ে প্রাণীদের বেষ্টনীর ভেতর ঘুরে আসছে মিনিবাসগুলো। মিনি বাসে চড়ে দেখা যায়, বাঘ, সিংহ, ভালুক, জেব্রা, জিরাফসহ বিভিন্ন প্রাণী।
কাপাসিয়ার দস্যুনারায়ণপুর থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাঘ দেখতে এসেছেন আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাঘ দেখতে পেয়েছি। তবে অনেক দূর থেকে দেখতে হয়েছে। আরও কাছে দেখতে পেলে ছবি তুলতে সুবিধা হতো। মৌসুমী আক্তার ঈদের ছুটিতে তাঁর মা ও ভাইকে সঙ্গে করে সাফারি পার্কের প্রাণী বৈচিত্র্য উপভোগ করতে এসেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘এত লোক হবে তা বুঝতে পারেনি। লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। কোর সাফারির বাসে উঠতে অন্তত আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তবে এত সব ঝামেলার পর বাঘ ও সিংহ দেখতে পেয়েছি।
শ্রীপুরের বরমী থেকে পার্কে ঘুরতে এসেছেন পাঁচ বান্ধবী বিউটি আক্তার, সালমা আক্তার, মৌসুমী আক্তার, সাজেদা খাতুন এবং মুন্নী আক্তার। তারা জানিয়েছেন, তাদের উপজেলায় পার্কের অবস্থান হলেও পাঁচ বান্ধবীর একসঙ্গে কখনও পার্কে আসা হয়নি। এবার একসঙ্গে পার্কে এসে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন তারা। দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় তাদের বাড়তি আনন্দ জুড়িয়েছে। লাইনে দাঁড়িয়ে পার্কে প্রবেশের পদ্ধতি খুবই সুন্দর ছিল। এতে করে ছেলেমেয়ে একসঙ্গে প্রবশে করলেও কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টা থেকে শুরু করে পার্ক খোলা থাকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। যথাযথ নিয়ম মেনে ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পশুপাখি দেখানো হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন এমন দর্শনার্থী থাকবে বলে আশা করছি।