বিএনপি জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ নামে অধ্যাদেশ জারি এবং তারপরে গণভোটের পক্ষে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হতে পারে। আগামী সংসদ গণভোটের রায় মানতে বাধ্য থাকবে।
আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চতুর্থ দিনের আলোচনা শেষে এ কথা বলেন বিএনপির নেতা। জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধানসম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয় আজ।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ফাইনাল স্টেজে আমরা আছি। মোটামুটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, একমত হয়েছি।’ এ সময় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
গণভোটের প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জনগণের কাছে যদি সম্মতি নেওয়া যায় যে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছি, অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি—জনগণ তার পক্ষে আছে কি না, তাহলে সেটা হবে জনগণের পক্ষ থেকে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য চূড়ান্ত অভিমত।’ গণভোটের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধানের কোথাও রেফারেন্ডাম করা যাবে না, এমন কোনো বিধান নেই। একটা অর্ডিন্যান্স জারি করে নির্বাচন কমিশনকে এখতিয়ার দেওয়া যেতে পারে একই দিনে সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি আলাদা ব্যালটে রেফারেন্ডাম (গণভোট) করার জন্য। রেফারেন্ডামের মাধ্যমে যে জনরায় আসবে, সেটা সার্বভৌম ক্ষমতার একটা রায়। সুতরাং সব সংসদ সদস্য সেটা মানতে বাধ্য।’
জুলাই সনদের বিভিন্ন ধারার ওপর বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকা নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান নোট অব ডিসেন্ট থাকা বিষয় দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে। তিনি বলেন, জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামায় সবাই সই করবেন। ওয়েবসাইটে যাবে। জনগণ জানবে, জুলাই সনদে কী আছে। যারা ম্যান্ডেট পাবেন, তারা তাদের নোট অব ডিসেন্ট অনুসারে যেতে পারবেন।