বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ও প্রত্যাশাকে ধারণ করি। আমরা তা পূরণ করার জন্য সচেষ্ট থাকবো। কিন্তু জুলাই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অনেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মিলাতে চায়। এর মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে ছোট করা হয়। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে দেয়া সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক আদেশে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ, জুলাই সনদ প্রণীত হওয়ার পর অঙ্গীকারনামা ও নোট অব ডিসেন্টসহ বিস্তারিত তুলে ধরে সেটা স্বাক্ষরিত হবে। এক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামায় যুক্ত করতে হবে, যারা যেভাবে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, ক্ষমতায় গেলে তারা সেভাবে বাস্তবায়ন করবে। তার ভিত্তিতে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এরপর গণভোট হবে। সেই গণভোটের রায় অনুযায়ী বাস্তবায়ন হবে। আগামীতে যারা ক্ষমতায় যাবেন, তারা তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী, তা বাস্তবায়ন করবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন কঠিন হবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। তার আগে একই ধরণের একটি বড় নির্বাচন আয়োজন অসম্ভব। সেক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আর নভেম্বর ডিসেম্বরে গণভোটের পর ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন। গণভোটের রায় বাস্তবায়ন করবে সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ীরা। ফলে আগে গণভোটে বিশেষ কোনো সুফল নেই। তাই একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হওয়া বাঞ্চনীয় বলে অধিকাংশ দল মনে করে। কমিশন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বলে আশা করি।
জুলাই সনদের সঠিক বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, অধিকাংশ দল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের পক্ষে। গণভোটের তফসিল ঘোষণার আগে হাতে আছে এক থেকে দেড় মাস। এর আগে গণভোট আয়োজন করা কী সম্ভব? কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে? এটি জাতীয় নির্বাচনের মতোই কর্মযজ্ঞ। ফলে, এখন গণভোট করলে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার প্রয়াস হিসেবে দেখি।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য যতটুকু হয়েছে, সেটিই থাক। এখন আমরা আলোচনা করছি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে। নোট অব ডিসেন্ট যেভাবে দিয়েছি, তা অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ থাকতে হবে। মানুষ জুলাই সনদে রায় দিলেও নোট অব ডিসেন্ট থাকবে।