২২ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৯:১১ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

এনবিআরের আরো ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৯:১১ পিএম

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনের সময় দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ায় আরো ৪ কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) এক আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়। আইআরডি সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান ৪ কর্মকর্তার বরখাস্তের পৃথক আদেশে স্বাক্ষর করেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন-সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, খুলনার মোংলার কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল আলা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান, চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির যুগ্ম কমিশনার সানোয়ারুল কবির ও খুলনার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম।

আদেশে বলা হয়, গত ১২ মে সরকার রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারির পর এর বিরুদ্ধে এনবিআরের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলনে জড়িত হন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে অফিসের কাজে বাধা দেওয়া এবং অন্যদের কাজ বন্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ফলে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৩৯(১) অনুযায়ী তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তারা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

আন্দোলনের জেরে গত দেড় মাসে এনবিআরের সদস্য থেকে প্রহরী পর্যন্ত মোট ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মে ও জুন মাসে রাজস্ব খাতে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ২৮ ও ২৯ জুন সারা দেশে কাজ বন্ধ করে দেন তারা। এরপর ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তারা। পরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। আন্দোলন প্রত্যাহারের পর এ পর্যন্ত তিন সদস্য ও এক কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

কাজ বন্ধ রাখার দায়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া এনবিআরের ২ সদস্যসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তাদের অধিকাংশই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা-এই দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি হয়। এরপর থেকে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে যৌক্তিক সংস্কারে দাবিতে প্রায় দেড় মাস আন্দোলন করেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x