জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য একে এম বদিউল আলম, লুৎফুল আজিমসহ ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ খোঁজ পেয়েছে দুদক। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সস্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। এদিকে ঋণের নামে ২০৭ কোটি আত্মসাতের মামলায় দুদকের জালে জড়িয়েছেন এস আলম গ্রুপের সাইফুল আলম, রন হক সিকদারসহ ২৬ জন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। সংস্কারসহ নানা দাবিতে গত জুনে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন যখন তুঙ্গে। ঠিক তখনই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক ও সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
সংস্থাটির দেড় মাসের অনুসন্ধানের তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের দুই সদস্য একে এম বদিউল আলম, লুৎফুল আজিমসহ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানান মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ১৭নং বিধির আলোকে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে ঋণের নামে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২০৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, সিদকার গ্রুপের রন হক সিকদার, রিক হক সিকদারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে জানান তিনি। এদিন ভুয়া একাউন্ট খুলে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।