একসময়ের ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনয়শিল্পী শাহরিয়ার নাজিম জয় এখন পুরোদস্তুর উপস্থাপক। ৩০০ সেকেন্ড নামে অনুষ্ঠান যেমন উপস্থাপনা করেন, তেমনি ৩০০০ সেকেন্ডের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়ও সিদ্ধহস্ত এই তারকা। চলচ্চিত্র পরিচালনায়ও অভিষেক ঘটেছে জয়ের। তবে এখন অভিনয় কিংবা নির্মাণে তাকে দেখা যায় না বললেই চলে। এবার চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন জয়।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) জয় তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে এই অভিনেতা লেখেন, “যদি বেঁচে থাকি এমন একটা সিনেমা বানাব, যে সিনেমা বিশ্বে তোলপাড় লাগিয়ে দিবে। দেশে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিবে। ইনশাল্লাহ। তখন অভিনেতা এবং উপস্থাপকের পাশাপাশি পরিচালক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের নাম সবার আগে উচ্চারিত হবে।”
অবহেলা না করার আহ্বান জানিয়ে জয় লেখেন, অবহেলা কইরেন না, আন্ডার এস্টিমেটও কইরেন না। আমি পারবই, আমাকে পারতে হবেই। ১৯৯৭ সালে ‘গোধুলী লগ্নে’ নাটকে অভিনয় করেন জয়। এ নাটকের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে টেলিভিশন পর্দায় তার অভিষেক হয়। একই বছর ‘অন্যমনে’ নাটকে তাজিন আহমেদের বিপরীতে অভিনয় করেন। তবে ‘বিলেত বিলাস’ ও ‘কন্যা কুমারী’ টিভি নাটকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তারপর অসংখ্য টিভি নাটকে দেখা গেছে জয়কে। কেবল তাই নয়, টিভি নাটক রচনার পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন এই অভিনেতা। তার নির্মিত প্রথম টিভি নাটক ‘গলির মোড়ে সিডির দোকান’। ২০০৬ সালে ‘জীবনের গল্প’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে জয়ের। এ সিনেমায় তার বিপরীতের অভিনয় করেন শাবনূর। এটি পরিচালনা করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তারপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন জয়। ২০১৫ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক হয়। ‘প্রার্থনা’ শিরোনামের এ সিনেমা প্রযোজনা করে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।