পরীক্ষামূলক চলাচলে সফলতার পর আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে যুক্ত হলো আধুনিক সি-ট্রাক ‘এসটি ভাষা শহীদ জব্বার’। নৌপরিবহন উপদেষ্টার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নৌপথে মহেশখালী দ্বীপের ৪ লাখ বাসিন্দা ও পর্যটকদের ভোগান্তি অনেকটাই নিরসন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত হওয়ায় বাড়বে দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াতও।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১ টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে সিট্রাক চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এরপর সিট্রাকটি ১১ টা ২৫ মিনিটের দিকে মহেশখালী দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এবং মহেশখালী জেটিঘাটে পৌঁছে বেলা ১২ টার দিকে। এসময় জেটি ঘাটে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় জমান।
এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও সাথে থাকা বিশষ্ট বুদ্ধিজীবি ড. সলিমুল্লাহ খানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ছাত্রজনতা। পরে দুই অতিথি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে কথা বলেন। এসময় ড. সলিমুল্লাহ খান এ নৌপথের ভাড়া সাধ্যের মধ্যে রাখা এবং দুটো সিট্রাক চালুর দাবি জানান।
এসময় ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৪০-৫০ বছর এখানে মাফিয়া চক্র কাজ করেছে। এই চক্রের কারনে ৮ মাস লাগলো সিট্রাক আনতে। মামলার কারনে ড্রেজিং করা যায়নি ৬ নম্বর জেটিঘাট এলাকায়। ভবিষ্যতে আরও একটি সিট্রাক হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা।
এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত ভাড়া ৫০ টাকা থেকে কমিয়ে পুননির্ধারন করা হয়েছে বলে জানান। এক্ষেত্রে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর জেটিঘাট থেকে মহেশখালী যাতায়াতের ক্ষেত্রে একজন যাত্রীকে ভাড়া দিতে হবে ৩৫ টাকা। অন্যদিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে মহেশখালী যেতে ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। এর বাইরে একবার ঘাটে টোল দিতে হবে ৫ টাকা।
নৌপথটিতে প্রতিদিন তিনবার করে যাওয়া-আসা করবে ২৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতার সি-ট্রাকটি। সি-ট্রাক চলাচলের সময়ও এর মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা, দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় মহেশখালীর উদ্দেশে সি-ট্রাক ছেড়ে যাবে। মহেশখালী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা, বেলা ১১টা এবং বিকেল ৫টায়। এই সি-ট্রাক চালুর মধ্য দিয়ে সারা বছর ঝুঁকিহীন যাতায়াত নিশ্চিত হলো স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের।