Site icon সারাবেলার খবর

কাংখিত পর্যটক নিয়ে শংকা থাকলেও প্রস্তুত কক্সবাজার

দেশে প্রথমবারের মত ঈদুল আযহাতেও টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি পেয়েছেন চাকুরীজীবিরা। কিন্তু অন্যান্যবারের মত সেই ছুটি কাটাতে কক্সবাজারে তেমন পর্যটকের ঢল নামছেনা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা। বর্ষা মৌসুমের আগেই টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এখনো কমপক্ষে সমুদ্র শহর কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও কটেজের ৭০ শতাংশ কক্ষ খালি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটনসেবীরা। এরপরও ঈদের দুই তিনদিন পরে পর্যটক বাড়তে পারে এমন আশায় বুক বেঁধে কক্সবাজারকে প্রস্তুত করেছেন ব্যবসায়ী ও প্রশাসন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও পর্যটন সেবীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজার শহরে পর্যটকের রাত্রিযাপনের জন্য ছয়শর কাছাকাছি হোটেল মোটেল ও কটেজ এবং ফ্লাট রয়েছে। ঈদুল আযহাতে আগত পর্যটকদের বরণে এসব হোটেল মোটেল নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। তবে এখনো কাঙ্খিত পর্যটকের সাড়া মিলেনি।

তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের বিপণন ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ নুর সোমেল বলেন, ঈদুল আযহার ছুটি ৫ জুন থেকে শুরু হলেও পর্যটকরা কক্ষ বুকিং দিচ্ছে ৯ জুন থেকে। ৯-১৩ জুন কক্সবাজারে পর্যন্ত কক্সবাজারে লাখের কাছাকাছি পর্যটক অবস্থান করবে বলে আমি আশাবাদি।

কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের ঈদের ছুটিতে এখনো পর্যন্ত আশানুরুপ পর্যটকের সাড়া মিলেনি। আমাদের সমিতির আওতাভুক্ত হোটেল মোটেলের এখনো ৩০ শতাংশ কক্ষ বরাদ্দ হয়েছে। তবে আমরা আশা করছি বৃ্ষ্টি কমলে ঈদের দুই তিনদিন পর পর্যটক সমাগম বাড়তে পারে । সেই অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাব ও ট্যুরস অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক) সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বর্ষা মৌসুমের কারনে অন্যান্যবারের ‍তুলনায় এবারের ঈদের ছুটিতে পর্যটকের সাড়া কম মিলছে। তবুও লম্বা ছুটি থাকায় শেষদিকে কক্সবাজার পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত থাকবে বলে আশা করছি। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ভ্রমনকে আনন্দমুখর করতে প্রতিবারের মত এবারও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

এ বিষয়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ বলেন, এবারের ঈদে কক্সবাজারের তিন লাখের মত পর্যটকের আগমন ঘটবে। আমরা তাদের ভ্রমনকে আনন্দমুখর করতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষনের পাশপাশি সৈকতের প্রতিটি গোলঘরে পুলিশ অবস্থান করবে। একদিকে মোবাইল টিম অন্যদিকে সাদা পোশাকে পুলিশ সমুদ্র সৈকতে ঘুরবেন। তিনি আরো বলেন, আমরা পর্যটকের সেবার মান বাড়াতে স্থানীয় স্টকহোল্ডারদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। তাদেরকে সাবধান করেছি। পর্যটকদের হয়রানি থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ২০ মে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় ঈদের ছুটিতে যানবাহনে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া না নেয় এবং রেস্তোরাঁয় খাবারের মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এসবের বাস্তবায়ন করতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ছুটির সময় একাধিক মোবাইল টিম পর্যটকদের সকল ধরনের হয়রানি রোধে মাঠে কাজ করবে।

Exit mobile version