২৪ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫, ১২:২৪ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

‘কাউকে ফেরেশতা বানানোর প্রয়োজন নেই, আবার কাউকে উপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই’

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫, ১২:২৪ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্জলের মুখ্য সংগঠক মো. সারজিস আলম

জুলাই-যোদ্ধা, গাজী এবং জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাঁক উত্থান-পতনের ইতিহাস চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পার্সপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্জলের এই মুখ্য সংগঠক লেখেন, ‘২৪ এর অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে সবকিছু ছিল এক ব্যক্তি এবং এক দলকেন্দ্রিক। ইতিহাস মানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ভুল ধরার সুযোগ নেই। ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির, রাজাকার কিংবা সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী ট্যাগ খাবেন।

সারজিস লেখেন, একইভাবে মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের কিংবা সরকারের সমালোচনা করতে পারলেও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেশতা। এটা বলার স্পর্ধা দেখালে আপনি আবার ট্যাগ খাবেন। গুম, খুন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও সম্মুখীনও হতে পারেন।

তিনি স্মৃতিচারণ করে লেখেন, তখন মনে হতো এমনকি কোনো সময় আসবে কিংবা এমন কিছু মানুষ কি থাকবে যারা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তত ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০০৮ পর্যন্ত আমাদের সামনে তুলে ধরবে?

তিনি লেখেন, সেই সুযোগ তখন ছিল না। এখন আছে। তিনি আরো লেখেন, আমরা এই প্রজন্ম চাই- ইতিহাসের এই অধ্যায়গুলোতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি; তিনি যেকোনো দল, মত, ধর্ম, বর্ণ কিংবা ক্ষেত্রের হোক না কেন, তাদেরকে তাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে হবে। তাদের ভালো কাজগুলোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে, সীমাবদ্ধতাগুলোকে অ্যাড্রেস করতে হবে।

সারজিস লেখেন, যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন, পড়াশোনা করেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাঁকের এই ইতিহাসগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পার্সপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন। জনগণ বিচার করুক কোনটা তারা গ্রহণ করবে আর কোনটা গ্রহণ করবে না।

এনসিপির শীর্ষ এই নেতা আরো লেখেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদ, জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে যাদের যতটুকু অবদান সেগুলো তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি তাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই সীমাবদ্ধতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কাউকে ফেরেশতা বানানোর প্রয়োজন নেই, আবার কাউকে উপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দিতে হবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x