পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য পুরুষ দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করেছে। নতুন চুক্তিতে ২৭ জনের জায়গায় ৩০ জনকে চুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে কাউকেই রাখা হয়নি ‘এ’ গ্রেডে। বাজে ফর্ম পার করা সিনিয়র ক্রিকেটার এবং সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ও শাহিন আফ্রিদিকে ‘বি’ গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়া এবং টি-২০ দলের অধিনায়ক সালমান আঘাও নেই ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। টেস্ট দলের অধিনায়ক শান মাসুদ জায়গা পেয়েছেন ‘ডি’ গ্রেডে। নতুন চুক্তিতে ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’ গ্রেডে যথাক্রমে ১০ জন করে ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন। এর মধ্যে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন বাবর, রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি, সালমান আঘা, ফখর জামান, হাসান আলী, হারিস রউফ, সাঈম আইয়ূব, আবরার আহমেদ ও শাদাব খান।
‘সি’ গ্রেডে আছেন আব্দুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ হারিস, নোমান আলী, সূদ শাকিল, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাহিবজাদা ফারহান, হাসান নওয়াজ, নাসিম শাহ ও সাজিদ খান। ‘ডি’ গ্রেডে আছেন আহমেদ দানিয়াল, খুশদিল শাহ, ওয়াসিম জুনিয়র, সুফিয়ান মুকিম, হুসাইন তালাত, মোহাম্মদ আব্বাস, সালমান মির্জা, খুররম শাহজাদ, আব্বাস আফ্রিদি ও শান মাসুদ।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ‘বি’ গ্রেডে থাকা একজন ক্রিকেটার বছরে ৩০ লাখ পাকিস্তানি রুপি বেতন বাবদ পান। এর মধ্যে আইসিসির ৩ শতাংশ লভ্যাংশ থেকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি পেয়ে থাকেন তারা। ‘সি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার বছরে ১০ লাখ এবং ‘ডি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার পাকিস্তানি রুপি নিট বেতন বাবদ পান।
বাবর আজমরা আগে ‘এ’ গ্রেডে থাকায় বছরে ৪৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি বেতন পেতেন। ‘বি’ গ্রেডে নেমে যাওয়ায় ১৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি বেতন কমলো তাদের। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান ক’দিন আগে জানিয়েছে, পিসিবি ক্রিকেটারদের আর আইসিসির ৩ শতাংশ লভ্যাংশও দেবে না। লভ্যাংশ বাতিল হলে ৩০ লাখ থেকে আরও ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি কাটা যাবে বাবর-রিজওয়ান-শাহিনদের। যার অর্থ এক বছরে প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি বেতন কমবে তাদের।