৩১ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ৯:৫৪ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

কোটা শ্রীনিবাস রাওয়ের জীবনাবসান

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ৯:৫৪ এএম
প্রখ্যাত তেলুগু চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সাবেক বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাওয়ের জীবনাবসান

প্রখ্যাত তেলুগু চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সাবেক বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও রবিবার (১৩ জুলাই) ভোররাতে হায়দরাবাদের ফিল্মনগর এলাকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরিবারসূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী রুক্মিণী এবং দুই কন্যাকে। তার একমাত্র পুত্র কোটা প্রসাদ রাও ২০১০ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।

তেলুগু সিনেমায় ভিলেন, চরিত্রাভিনেতা ও কমেডিয়ান-প্রতিটি ভূমিকাতেই দর্শকহৃদয় জয় করেছিলেন কোটা শ্রীনিবাস রাও। তেলুগুর পাশাপাশি তিনি তামিল, হিন্দি, কন্নড় এবং মালয়ালম ছবিতেও অভিনয় করেন। তার মোট চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় ৭৫০-এর মধ্যে তামিল ছবিতে ৩০টি, হিন্দিতে ১০টি, কন্নড়ে ৮টি এবং একটি মালয়ালম ছবি অন্তর্ভুক্ত। তার শেষ তেলুগু সিনেমা সুবর্ণ সুন্দরী মুক্তি পেয়েছিল ২০২৩ সালে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

১৯৪২ সালের ১০ জুলাই, অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার কাঙ্কিপাড়ু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কোটা। তার মা কোটা সীতারামা অনসূইয়াম্মা ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহকে উৎসাহিত করতেন। ছাত্রজীবনেই তিনি নাট্যমঞ্চে অভিনয় শুরু করেন।

চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে তিনি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াতে চাকরি করতেন এবং সেই সঙ্গে থিয়েটারে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রাণম খারেদু ছবির মাধ্যমে তেলুগু সিনেমায় তার অভিষেক ঘটে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

অভিনয়ের জন্য তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৯টি নন্দী পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন কোটা। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজয়ওয়াড়া (পূর্ব) বিধানসভা আসনের এমএলএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x