২৮ অক্টোবর ২০২৫ মঙ্গলবার
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ৩:৩২ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে সৈয়দপুরের দুম্বার খামার

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ৩:৩২ পিএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরের গ্রামীণ জনপদে গড়ে উঠেছে দুম্বার খামার। এই খামার করে সাড়া ফেলেছেন রবিউল ইসলাম কাজল নামে এক ব্যক্তি। দুটি দুম্বা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও তার খামারে এখন ২৬টি দুম্বা। নতুন ও ভিন্নধর্মী পশুর এই খামার দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসছেন মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কাথারিপাড়ায় মো. রবিউল ইসলাম কাজলের ব্যতিক্রমী দুম্বার খামার। প্রবাসী ভাই রেজাউল ইসলাম নয়নের সহযোগিতায় খামারটি গড়ে তুলেছেন তিনি। খামারে দেশি ছাগলের সঙ্গে লালন-পালন করছেন দুম্বাগুলোকে। এসব দুম্বা মূলত কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

খামারে ছোটবড় দিয়ে মোট ২৬টি দুম্বা রয়েছে। খোলা মাঠের ঘাস খেতে দেখা যায় দুম্বাগুলোকে। এছাড়াও খামারে দুম্বাদের কাঁচা ঘাস, ভূসি ও খৈল খেতে দেওয়া হয়। খামারে ছাগল এবং দুম্বাগুলো দেখাশোনার জন্য মাসিক বেতনে দুইজন কর্মচারী কাজ করছেন। মরুর দুম্বাগুলো এক নজর দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, সচরাচর কেউ দুম্বা পালন করেন না। শখ মেটাতে খরচের পরিমাণ বেশি হলেও ভিন্নধর্মী পশু পালন করছেন রবিউল ইসলাম। তার দুম্বা পালন দেখে এলাকাবাসী ও আগত দর্শনার্থীরা উৎসাহিত হচ্ছেন।

খামারের মালিক মো. রবিউল ইসলাম কাজল বলেন, মূলত ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে দুম্বা খামার সম্পর্কে জানি এবং খামার করার উৎসাহ জাগে আমার। একপর্যায়ে আমার বড় ভাইয়ের পরামর্শে তুর্কি জাতের ৮টি দুম্বা ১২ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। ৬ মাস যেতে না যেতেই বাচ্চা দেওয়া শুরু করে দুম্বাগুলো। ২ বছর পর খামারে এখন ২৬টি দুম্বা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। দুম্বার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি তাই এর ব্যবসা বেশ লাভজনক।

তিনি আরও জানান, মরুর প্রাণী যে আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে তা কখনো ভাবিনি। দুম্বার পাশাপাশি খামারে রয়েছে দেশীয় ও উন্নত জাতের ছাগল। শখের খামার এখন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। খামারটি করে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি।

তিনি মনে করেন, খামারটিতে বাণিজ্যিকভাবে দুম্বা পালন করতে পারলে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। প্রতিটির দাম দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত। ওজন ৫০ কেজি থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত। কেউ কোরবানির জন্য নিতে চাইলে খামার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার রায়ের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের পরও মোবাইল না ধরায় মতামত জানা যায়নি।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x