বিনোদন ডেস্ক
আমির খান তার সর্বশেষ ছবি ‘সিতারে জমিন পার’-এর প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত। ১৩ মে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটির ট্রেলারে আমির খানকে ‘টিঙ্গু’ বলা হচ্ছে— যা স্পষ্টতই তার খর্বাকৃতির (ছোট উচ্চতার) কথা স্মরণ করেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির খান বলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে তিনি তার ‘ছোট’ বা কম উচ্চতা সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন।
জাস্ট টু ফিল্মির সাথে এক আলাপচারিতায় আমির খান স্বীকার করেন— শুরুতে তার ক্যারিয়ার নিয়ে তিনি ‘ভয়’ পেতেন, কারণ বলিউডের আগের সুপারস্টাররা যেমন অমিতাভ বচ্চন, বিনোদ খান্না এবং শত্রুঘ্ন সিনহা সবাই বেশ লম্বা ছিলেন।
তিনি বলেন, আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। অমিত জি ছিলেন এক নম্বর এবং তিনি ছয় ফুটেরও বেশি লম্বা ছিলেন। বিনোদ জি, শত্রুঘ্ন সিনহা – সবাই খুব লম্বা ছিলেন। তাই আমি নার্ভাস ছিলাম, ভাবছিলাম আমার মতো ছোট উচ্চতার অভিনেতার সুযোগ থাকবে কিনা। আমি এটা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু দেখা গেল, সবকিছু ঠিক আছে।
অভিনেতা আরো বলেন, তিনি সর্বদা নেতিবাচক মন্তব্য গ্রহণে বিশ্বাস করেন। তিনি প্রবীণ গীতিকার জাভেদ আখতারকে কৃতিত্ব দেন যিনি একবার তাকে মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছিলেন। জাভেদ সাহেব একবার হাস্যরস সম্পর্কে বলেছিলেন, হাস্যরসের ভালো অনুভূতি কেবল মজা এবং খেলার জন্য নয়, বরং জীবনের কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় এটি আসলে কাজে আসে। একথার সাথে আমি সত্যিই একমত। আমার মনে হয় আমার সব সময়ই সেই ক্ষমতা ছিল। এবং এটি (সিতারে জমিন পর) ছবির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
‘সিতারে জমিন পর’ সম্পর্কে
আমিরের আসন্ন ছবি ‘সিতারে জমিন পর’ হলো তার প্রশংসিত ছবি ‘তারে জমিন পর’-এর সিক্যুয়েল। ২০০৭ সালের ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন অভিনেতা নিজেই।
‘সিতারে জমিন পর’ ছবিতে আমির একজন বাস্কেটবল কোচের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যার ওপর একটি প্রতিযোগিতার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিশাল দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ছবিটি আর এস প্রসন্ন পরিচালনা করেছেন। এটি ২০ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।