খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় রোববার গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাবের জানান, রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে গুইমারা থেকে তিনটি মরদেহ ও গুরুতর আহত চারজনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। মরদেহ তিনটি হিমাগারে রাখা হয়েছে। সোমবার পোস্টমর্টেম হবে। তারপর বোঝা যাবে কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খোন্দকার জানান, হতাহতদের বিষয়ে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে কাজ করছে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
খাগড়াছড়িতে হতাহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন পাহাড়ি নিহত হয়েছেন। একজন মেজরসহ ১৩ সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহত হন।’
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শিগগির তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে শনিবার ভোর থেকে অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এ কারণে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারের পাশের কয়েকটি বসতবাড়িও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।