৩১ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১:৪২ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

খালেদা জিয়াকে লন্ডন পাঠাতে সরকারকে বিএনপির চিঠি

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১:৪২ এএম

যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফের উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডন পাঠাতে চায় বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার চার সফরসঙ্গীর জন্য ১০ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চেয়ে ‘নোট ভারবাল’ ইস্যু করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে নোট ভারবাল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে চলতি মাসে বা খুব নিকট সময়ের মধ্যে সফর করবেন মর্মে দ্রুত সময়ের মধ্যে নোট ভারবাল সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকার নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, রোববার (২৭ জুলাই) বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার স্বাক্ষরিত একটি অতি জরুরি চিঠি পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামকে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, চিকিৎসক টিমের পরামর্শক্রমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য পুনরায় যুক্তরাজ্যে গমন করা জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত সহকারী তার সফরসঙ্গী হবেন। তাদের অনুকূলে ‘নোট ভারবাল’ ইস্যু করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

১. বেগম খালেদা জিয়া (পাসপোর্ট নম্বর…), ২. এ বি এম আব্দুস সাত্তার (পাসপোর্ট নম্বর…), ৩. মো. মাসুদার রহমান (পাসপোর্ট নম্বর…), ৪. ফাতেমা বেগম (পাসপোর্ট নম্বর…), ৫. রুপা সিকদার (পাসপোর্ট নম্বর…)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বিএনপির চিঠি পাওয়ার পরদিনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার চার সফরসঙ্গীর জন্য ১০ বছরের মাল্টিপল ভিসা চেয়ে যে নোট ভারবাল চাওয়া হয়েছে, তা সম্পন্ন করা হয়েছে।

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তিনি দীর্ঘ চার মাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফেরেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় তার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডনে যান। পরে গত জুলাইয়ে চিকিৎসা শেষে কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x