খুলনা বিভাগজুড়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিভাগীয় কার্যালয়সহ খুলনা বিভাগের আওতাধীন ১১টি টিম খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর ও নড়াইল জেলায় পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে নানা অভিযোগে ১৩ প্রতিষ্ঠানকে লাখ ২৮ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর সদর থানার যশোর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিরানী ঘরকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদনের অপরাধে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামাণিকের নেতৃত্বে হাদিস পার্ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা যাদব ঘোষ ডেয়ারিকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ২ হাজার টাকা এবং নিউ মন ময়ূরীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর ও দৌলতপুর থানার বিআইডিসি রোড ও দৌলতপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে যথাযথ পণ্য সরবরাহ না করার অপরাধে মেসার্স বিদ্যুৎ ফার্মেসিকে ৩ হাজার টাকা এবং মেসার্স ডিকে শপিংকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মদের নেতৃত্বে শ্রীপুর উপজেলার রাধানগর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স ফাতেমা বেকারিকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন ও খাদ্য দ্রব্যে নিষিদ্ধ পণ্যের মিশ্রণের অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে কেশবপুর উপজেলার কেশবপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদনের অপরাধে জিয়া হোটেলকে ৫ হাজার টাকা, জনতা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা এবং এইচ এম ট্রেডার্সকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলীর নেতৃত্বে সদর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স তোফাজ্জল ফার্মেসিকে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা প্রতারণার অপরাধে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানার নেতৃত্বে কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহামায়া মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদনের অপরাধে ৫ হাজার টাকা এবং মা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ওজনে কারচুপি করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার কাথন্ডা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে মা কসমেটিকসকে ৩ হাজার টাকা এবং মেসার্স শাওন স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহেরের নেতৃত্বে কালিগঞ্জ উপজেলার নতুন বাজার ও ছন্দ সিনেমা হল এলাকায় অভিযান চালিয়ে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে জনতা কেককে ২ হাজার টাকা, সোহেল স্টোরকে ৩ হাজার টাকা, সাহেব স্টোরকে ২ হাজার টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির অপরাধে নাসির স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে গাংনী উপজেলার বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার রূপগঞ্জ ও ভাওয়ালখালী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে মেসার্স হ্যানিম্যান হোমিও ফার্মেসিকে ৩ হাজার টাকা, মেসার্স তাসফিয়া হোমিও ফার্মেসিকে ৫ শত টাকা, মেসার্স শিকদার ফার্মেসিকে ৩ হাজার টাকা এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে মেসার্স দীপ্ত স্টোরকে ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়।
সার্বিকভাবে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২৮ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয় এবং মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।