বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরবার সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দলীয় শীর্ষ নেতারা শিগগিরই তাঁর প্রত্যাবর্তনের আশা ব্যক্ত করলেও, এখনও নির্দিষ্ট সময় প্রকাশ করেননি। সূত্র বলছে, রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলীয় কিছু সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান আগামী আগস্টের শেষ দিকে দেশে ফিরতে পারেন, যদিও এটি চূড়ান্ত নয়।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাঁর ফেরার সময় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্ষাকালের আবহাওয়া এবং বড় ধরনের গণ-অভ্যর্থনার প্রস্তুতির জটিলতা বিবেচনায় দল প্রত্যাবর্তনের সময় নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনাও করছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বা পরে তাঁর আগমন রাজনৈতিকভাবে বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করছে দল।
এর মধ্যে গুলশানে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে তারেকের থাকার প্রস্তুতি চলছে। ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়া ও দীর্ঘ সময় পর বিদেশে অবস্থানরত তারেকের দেশে ফেরার পথে আইনি বাধা আর নেই বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। দলের শীর্ষ নেতারা ইতোমধ্যে তারেকের প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি জোরদার করেছেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিও শিগগিরই দেশে আসার আশ্বাস দিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেকের প্রত্যাবর্তন নির্বাচন বিজয়কে সামনে রেখে ‘রাজকীয়ভাবে’ হতে পারে বা সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরির অংশ হিসেবে কৌশলগত। দল এই মুহূর্তে তারেকের ফেরার সময় নির্ধারণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। বিএনপির ভেতরে আবারও ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’ স্লোগান উঠেছে, তবে প্রকৃত সময় এখনও রহস্যেই রয়েছে।