ঐক্যমত্য কমিশনের সংবিধান সংস্কার আলোচনায় তৎপর ছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। যদিও রাজনীতির মাঠে নতুন সংবিধান নিয়েও সোচ্চার থাকতে দেখা গেছে দলটিকে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন, প্রধান উপদেষ্টার এমন ঘোষণার পর তাদের তরফ থেকে আবারও জোরেশোরে উঠছে নতুন সংবিধানের দাবি। যা বাস্তবায়নে লাগবে গণপরিষদ নির্বাচন। এই দাবিতে সারা দেশে জনমত তৈরি করছে দলটি। শুরুতে শুধু গণপরিষদের দাবি থাকলেও এনসিপির এখনকার প্রস্তাবনা রাজনৈতিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে একইসঙ্গে জাতীয় সংসদ এবং গণপরিষদ নির্বাচন।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বারবার গণপরিষদ নির্বাচনের বলা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলা হয়। কিন্তু এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটি বোঝাপড়ায় আসতে পারে, সেক্ষেত্রে দুটি মর্যাদায় একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন যে আলাপ হয়েছে। গণপরিষদের একটা কাজ কমিশনের মাধ্যমে এগিয়ে আসছে।’
গণপরিষদ নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি জামায়াতও। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, আমরা গণপরিষদের দাবি করি নাই। তবে এগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আমাদের কথা হলো সমাধান দরকার। সরকার প্রধান বলেছেন, সেরা নির্বাচন করবেন। সেটা আমরাও আশা করি। এ জন্য আলোচনা হতে পারে।
এদিকে গণপরিষদ নির্বাচনের যৌক্তিকতা দেখছে না বিএনপি। এটিকে নির্বাচন পেছানো এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, গণপরিষদ নির্বাচন তখনই হয়, যখন কোনো দেশের নতুন করে শাসনতন্ত্র তৈরি করতে হয়। আমাদের শাসনতন্ত্র রয়েছে তো। এগুলো হলো কুতর্ক। যাতে নির্বাচনটা না হয়। নির্বাচন যত দেরিতে হবে, দেশে তত ষড়যন্ত্র বাড়বে।