গাজীপুর প্রতিনিধি
নির্ধারিত ৭ জুনের পরিবর্তে আগামী ৬ জুন শুক্রবার ঈদুল আযহা উদযাপনের ঘোষণার প্রতিবাদে গাজীপুরে আজ সোমবার বিকাল চারটায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডগরি এলাকায় ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তৌহিদি জনতার ব্যানারে স্থানীয় মুসলিমগণ ওই সমাবেশ করে। ইরফান দরবার শরীফ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জনৈক মাহবুবুর রহমানের বিতর্কিত ৬ জুনের ঈদুল আযহা উদযাপনের ওই ঘোষণার প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়। আল্লামা আহমদ আলী কাসেমি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
রাষ্ট্রীয়ভাবে আগামী শনিবার ৭ জুন দেশব্যাপী ঈদুল আযহা উদযাপনের নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা হলেও স্থানীয় ইরফান দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমান ৭ জুনের পরিবর্তে ৬ জুন শুক্রবার ঈদুল আযহা উদযাপনের ঘোষণা দেন। ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং ক্ষুব্ধতার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে বারবার সমঝোতামূলক সভা আহবান করলেও ইরফান দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমান এতে শামিল হননি। বরং তিনি ৬ জুন ঈদ উদযাপন এর প্রচারনা করেন।
৬ জুন ঈদ উদযাপনের বিতর্কে প্রতিবাদে সমাবেশে বক্তারা মাহবুবুর রহমানকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন । ইতিপূর্বে ইরফান দরবার শরীফের পক্ষ থেকে এলাকায় নির্ধারিত ঈদুল ফিতরের নামাজের আগের দিনই ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এনিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয় বিতর্ক।
সমাবেশে সদর উপজেলা এলাকার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম মুসল্লীগণসহ সহস্রাধিক লোক উপস্থিত হন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাজহারুল ইসলাম আজিজী, আসাদুজ্জামান নুরী, বোরহান উদ্দিন মিরাজ উদ্দিন, মাসুদুর রহমান,মনিরুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম, লোকমান হাসানসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা খুরশিদ আলম ,জাহাঙ্গীর আলম,শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ জুয়েল রানা। সমাবেশ পরিচালনা করেন মুফতি নোমান।
আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় সমাবেশ স্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর আগে সমাবেশ স্থলে সেনা সদস্যরা উপস্থিত হন। সমাবেশের সভাপতি কাসেমি বলেন, ৬ জুন বিতর্কিতভাবে ঘোষিত ঈদুল আযহার নামাজের জামাত আয়োজনকে প্রতিহত করা হবে।