গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে খানকা দরবার শরীফ সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় ৬ই জুনের ঈদুল আযহা নামাজ আদায় রুখে দিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডগরি এলাকায় স্থানীয় মুসল্লী সহ লোকজন বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে ছয়টা নাগাদ ওই বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভে দুই সহস্রাধিক মুসল্লী শরিক হন। মোটর শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে মুসল্লিরা ঈদের আগে ঈদ নয়, শরীয়তে বিধান নাই, ইসলাম প্রিয় এলাকাবাসী, রুখে দাড়াও রুখে দাঁড়াও এই স্লোগানে উত্তাল করে তোলে।
চাঁদপুর জেলা থেকে এসে গাজীপুর সদর উপজেলার ওই পূর্ব ডগরী এলাকায় দশ বছর আগে জনৈক মাহবুবুর রহমান খানকা দরবার শরীফ সংগঠনের ব্যানারে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসায় কিশোর কিশোরদের নিয়মিত কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়। সংগঠনের সদস্যরা ওই মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে যে কোন উপায়ে ৬ জুন ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেন। সপ্তাহখানেক আগে এই ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। এ নিয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় একটি মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এলাকাবাসী প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
সবাই মুসল্লীরা এবং স্থানীয় এলাকাবাসী ৬ জুন অনুষ্ঠেয় ঈদুল আযহা নামাজ আদায়ের থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। অনুরোধ উপেক্ষা করে ওই মাহবুবুর রহমান ৬জুন ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের ঘোষণায় অটল থাকেন। এ নিয়ে বিবাদমান মুসুল্লিদের দুটি পক্ষের মধ্যে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার মোটর শো শোভাযাত্রা শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এলাকার মসজিদের ইমাম মোস্তাফিজুর রহমান মুসল্লী হুমায়ুন কবীর, বাদল হোসেন, শরিফুল আলম, মুফতি ইলিয়াস হোসেন, নাসির পাটোয়ারী, সোহেল মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা সমাবেশে ওই মাহবুবুর রহমানকে ফেতনা সৃষ্টিকারী ও ধর্মের অপব্যাখ্যা কারী হিসেবে আখ্যা দেন। এদিকে পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আসকর আলীকে আটক করে নিয়ে যায়। আটকের খবর পেয়ে এলাকায় উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়ে।