গত ১৫ বছরে গুম, খুন, হয়রানি, আয়নাঘর, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা এবং জুলাই আন্দোলনে হাজারো ছাত্রজনতার মৃত্যুর জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার অন্যতম দোসর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকও সমান দায়ী বলে মন্তব্য করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন তার লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি করেন।
বিচারপতি খায়রুল হকের ক্ষমতার অপব্যবহার প্রসঙ্গে জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রধান বিচারপতি ও পরে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও তার বিরুদ্ধে সরকারি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম, ত্রাণ তহবিলের অর্থ গ্রহণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
গত ১১ আগস্ট হাইকোর্টে খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিলের শুনানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালতে বিশৃঙ্খলা শুধু আদালত ও বিচারপতিদের অবমাননা নয়, এটি সমগ্র জাতির প্রতি অপমান। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হট্টগোলকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতি, বার কাউন্সিল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই।
লিখিত বক্তব্যে জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল ও জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে অস্বীকৃতি জানানোর মাধ্যমে বিচারপতি খায়রুল হক গণতন্ত্রের কবর রচনা ও স্বৈরাচারের বীজ বপন করেছিলেন। আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে ফ্যাসিবাদের বটবৃক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার এমন বদরুদ্দোজা বাদল, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী তৌহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আলী সম্পাদক মো. মাকসুদ উল্লাহ ও ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমানসহ সংগঠনের শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।