অনেকেই হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেলিওরের পার্থক্য বোঝেন না। চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী, এদুটি একেবারেই আলাদা। বিভিন্ন কারণে হদযন্ত্রের পেশি দুর্বল হয়ে গিয়ে পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায়। তখন রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। অক্সিজেনের ঘাটতিতে শুরু হয় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। এটা হার্ট ফেলিওর।
হার্ট ব্যাপারটা অন্যরকম। হৎপিণ্ডের রক্তবাহী ধমনীতে চর্বির স্তর জমে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়ে হার্টের পেশি অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকতে শুরু করা। দৈনন্দিন জীবনের নানা অনিয়মের ফলে হার্ট অ্যাটাকের পাশাপাশি হার্ট ফেলিওরের সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। কিছু উপসর্গ ঘুমের মধ্যে দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। হার্ট ফেলিওরের উপসর্গগুলো জেনে রাখুন।
রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া
হার্ট ফেলিওরের সমস্যা শুরু রাতে মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। ওই সময় বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া, বুক ধড়ফড় করার মতো উপসর্গগুলো দেখা যেতে পারে। এমন উপসর্গ মাঝে মাঝে হলে, অবহেলা করা একেবারেই ঠিক হবে না, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
হার্ট ফেলিওরের কারণে ঘুমের মধ্যে আচমকা হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। বুক ধড়ফড়ানির কারণে শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। যে কারণে আচমকা ঘুম ভেঙে যায় রোগীর। এমন প্রায়শই হতে থাকলে একেবারেই দেরি করা ঠিক হবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
শ্বাসকষ্ট
হার্ট ফেলিওরের ক্ষেত্রে রাতে প্রবল শ্বাসকষ্ট হয়। এধরনের সমস্যাকে বলা হয় ‘প্যারোক্সিসমাল নক্টানার্ল ডিসপনিয়া’। এই সমস্যা সাধারণত ঘুমিয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হয়। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি নানা উদ্বেগ, ভয়ের মতো উপসর্গও দেখা যায়।