কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জামায়াতের এক কর্মি নিহত এবং একজন আহত হয়েছে; এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর পৌণে ১ টায় চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাছিমাকাটাস্থ সিকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মো. শফিকুল ইসলাম। নিহত আরিফুল ইসলাম ( ৪৮ ) একই এলাকার আলতাফ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি জামায়াত ইসলামীর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির বায়তুল মাল সম্পাদক।
ঘটনায় আহত হয়েছে খায়রুল আলম। তিনি নিহতের জেঠাতো ভাই এবং একই এলাকার জামাল হোসেন চৌধুরীর ছেলে। আটকরা হল, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুজন মিয়া ( ৩৭ ) একই এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে। এছাড়া সুজন মিয়ার মা ও বোনসহ ৪ জনকে করা হলেও তাদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাতে শফিকুল ইসলাম বলেন, জমির মালিকানা নিয়ে আরিফুল ইসলাম ও সুজন মিয়ার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সামাজিক সালিশও অনুষ্টিত হয়। কিন্তু উভয়পক্ষ বিচার না মানায় তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো।
মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে আরিফুল ইসলাম ও সুজন মিয়ার পরিবারের লোকজনের মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম ও তার এক জেঠাতো ভাই আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপরজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ঘটনার খবর শুনে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে সেনা বাহিনী একটি দলও ঘটনাস্থলে যায়। এসময় ঘটনার মূল অভিযুক্ত সুজন মিয়ার বাড়ী ঘিরে ফেললে তিনি কৌশলে পালানোর চেষ্টা চালায়। এতে ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তার মা ও বোনসহ আরও ৪ জনকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে।