৮ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার
প্রকাশ : ৫ জুলাই ২০২৫, ১:১০ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

চবিতে পদোন্নতির সাক্ষাৎকারে আসা শিক্ষককে ঘিরে ‘মব’ সৃষ্টির অভিযোগ

প্রকাশ : ৫ জুলাই ২০২৫, ১:১০ এএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক শিক্ষককে বরখাস্তের দাবিতে ছাত্রসংগঠনগুলোর বিক্ষোভ ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তী পদোন্নতির সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ পরিস্থিতির মুখে পড়েন। অভিযোগ করেছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে হেনস্তা করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারের জন্য দুপুর আড়াইটায় কার্যালয়ে গেলেও প্রায় তিন ঘণ্টা সেখানে অবরুদ্ধ থাকতে হয় তাকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রশাসনের গাড়িতে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুশল বরণ চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকারের খবরে দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদকেও সেখানে দেখা যায়। বিকেল ৪টার দিকে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতি বোর্ড বাতিল করে তাকে বরখাস্তের দাবি জানান।

সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কুশল উপাচার্য কার্যালয়ে ঢুকলেও সেখানে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহইয়া আখতার, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান ও সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। তবে উপাচার্যের নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে।

সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ইসলামী ছাত্রশিবির চবি শাখার নেতা হাবিবুল্লাহ খালেদ উত্তেজিতভাবে কথা বলছেন, তার সঙ্গীদের মুখেও ছিল হইচই। তাদের সামনে ছিলেন কুশল বরণ চক্রবর্তী। কুশল বরণ অভিযোগ করেন, “আমাকে নিয়ে যেসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তার জবাব দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে প্রশ্নই করা হয়নি। উল্টো সহ-উপাচার্য আমাকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন।”

শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী বলেন, কুশল বরণ চক্রবর্তী এক সময় ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিলেন এবং পরে দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বিদেশে অপপ্রচার চালিয়েছেন। তাই তার পদোন্নতির প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মব সৃষ্টির অভিযোগ মিথ্যা। বরং তিনিই ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হয়ে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। তার অতীত কর্মকাণ্ডের জন্যই আজকের এ অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মহলে মতভেদ তৈরি হয়েছে কুশল বরণের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x