চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন, এমন অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, আইনগত বাধা না থাকলেও নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হয়েও অন্য কোনো চাপের কারণে আমাদেরকে শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না। এটা কমিশনের ব্যর্থতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হল রুমে এনসিপি জেলা কমিটি আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগকে যারা বৈধতা দিয়েছে; তাদের কেউ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
এ সময় তিনি একটি সংগঠনকে ইঙ্গিত করে বলেন, পাঁচ বছর পরপর জনগণের সামনে গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ আসে, আগের মতো মার্কা দেখে অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে; যোগ্য ব্যক্তিদের বেছে নিতে হবে। নতুবা এর দায় আমাদেরও নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এনসিপি নেতা আখতার হোসেনের ওপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যাদের নেতৃত্বে সেখানে হামলা হয়েছে; তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এনসিপির সদস্য সচিব নিউইয়র্কের আদালতে ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এই এনসিপি নেতা বলেন, মধ্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই। তবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে গণহত্যার বিচারের রায় দৃশ্যমান হতে হবে। আইনগত ভিত্তি শক্ত হওয়ার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন ও মৌলিক সংস্কার জরুরি। নতুবা এটি হবে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে প্রতারণা।
এনসিপির সমন্বয় সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীর উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে মৌলভীবাজারের সবগুলো উপজেলায় কমিটি গঠন করতে হবে। এরপর ১৫ নভেম্বরের মধ্যে জেলার সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজ লোকদের প্রয়োজন নেই। একেকটি ওয়ার্ড থেকে পাঁচজন করে যোগ্যতাসম্পন্ন লোক উপস্থিত হলে ইউনিয়নে ৪৫ জন লোকের সম্মেলন ঘটবে। এ হিসেবে একটি উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন হলে ৪৫০ লোকের সম্মেলন ঘটবে। এভাবে স্বচ্ছতার চূড়ায় আরোহণ করবে এনসিপি।
এনসিপির জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ফাহাদ আলমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেসামুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ, জেলা কমিটির সমন্বয়ক সানাউল হক সুয়েজ প্রমুখ।