Site icon সারাবেলার খবর

ছাতকে আওয়ামী দোসরদের অপতৎপরতা! সক্রিয় ভুমিখেকো ও চাঁদাবাজ

সিলেট অফিস

ছাতকে আওয়ামী দোসরদের অপতৎপরতা বন্ধ হয়নি। ভুমিখেকো ও চাঁদাবাজ চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাদের অপকর্মে অতিষ্ঠ অগণিত নিরীহ মানুষ।সংঘবদ্ধ এ চক্রের অপতৎপরতা বন্ধসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে গত বুধবার সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি বরাবরে একটি অভিযোগ পেশ করেছেন ছাতক পৌরসভার চরেরবন্দ এলাকার মরহুম মোঃ আবু সাইদের ছেলে মোঃ আলী আকবর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাতক পৌরসভার চিহ্নিত কিছু ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ, নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পদবীধারী বিগত সতের বছর ৮নং ওয়ার্ডের চরের বন্দ এলাকার মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে, ছাতক ডিগ্রী কলেজের সাবেক সহ-সভাপতি ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহিন মিয়া এবং ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মোঃ আলি আলম একটি সংঘবদ্ধ ভুমিখেকো ও চাঁদাবাজ চক্র গড়ে তুলেছে। তারা এ চক্রের মাধ্যমে প্রশাসনকে ব্যবহার করে জিম্মি করেছে অগণিত নিরীহ মানুষকে। তাদের মধ্যে শাহীন আহমদ জালিয়াতির মাধ্যমে একই জমি একাধিক ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

এই চক্রের ফাদে পড়ে স্পেন প্রবাসী আলী আকবর মাহমুদ তারই বন্ধু প্রতারক শাহিনের খপ্পরে পড়ে জাল দলিল গ্রহণের মাধ্যমে খুইয়েছেন প্রায় অর্ধ কোটি টাকা, যে সমস্যার এখনো সমাধান হয়নি এবং তার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে মামলা এখনো চলমান। তাছাড়া, তার বাড়ির পাশে আয়াজ আলী গংদের জায়গা দখল করে শক্তির জোরে নিজের বাবার নামে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছে এবং প্রতিবেশীদের নিকট উক্ত রাস্তা ব্যবহারের শর্তে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

নতুন বাসা তৈরির ক্ষেত্রে এবং দীর্ঘদিন যারা প্রবাসে রয়েছেন, তাদেরকে হয়রানি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে। তাদের মধ্যে গনেশপুরের সোহেল মিয়াসহ রয়েছে আরো অনেক প্রবাসী যাদের অনেকেই তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও বিভিন্ন হুমকির প্রেক্ষিতে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে।

সিন্ডিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছাতক পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, চরের বন্দ এলাকার সাহিদুল ইসলাম ফরিদ এবং কুখ্যাত ভূমিদস্যু খালেদ মিয়া দলের প্রধান শাহীনের ছত্র ছায়ায় অপরাধের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে। সে আওয়ামী রাজনীতির জোরে চরের বন্দ গ্রামের ওয়াকফ করা মসজিদের জায়গা দখল করে এবং স্হানীয় পঞ্চায়েতের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মসজিদের জায়গা ও অন্যের বাসা দখলের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও চলমান রয়েছে।

প্রশাসনের চোখের সামনে ফ্যাসিস্টদের দোসর ভুমিখেকো ও চাঁদাবাজ শাহীন গং-দের বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেট পরিচালনায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের দোসররা প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। ভুমিখেকো, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ শাহীন গং প্রশাসনের নাকের ডগায় অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে, অথচ প্রশাসন নীরব। তাই এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ।

সাধারণ মানুষের দাবী, যারা প্রশাসনের সাথে যোগসাজশ রেখে জিম্মি করে সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবী। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগে চিহ্নিত ভুমিখেকো ও চাঁদাবাজ শাহীন-গংদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসীর সর্বসাধারন।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসররা যেখানে পলাতক, সেখানে ছাতক থানার পার্শ্ববর্তী এলাকা চরের বন্দে কিভাবে শাহীন গং অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলে ও গ্রেফতার এড়িয়ে বহাল তবিয়তে থাকে এই প্রশ্ন সচেতন মহলের। এমতাবস্থায় সব ধরনের অন্যায় কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ডেভিলের তালিকায় নাম থাকা শাহিনগংদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

Exit mobile version