ছেলে আলী হোসেন ফাহাদের হাতে হাতকড়া লাগানো দেখে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হয়ে পিতার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে ফেনী মডেল থানা প্রাঙ্গণে এঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) সকালে মরহুমকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী হোসেন ফাহাদ (২০) কে শর্শদী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি শর্শদী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। খবর পেয়ে বাবা আলী আকবর ফেনী মডেল থানায় ছেলেকে দেখতে যান। ‘নিরপরাধ’ ছেলের হাতে হাতকড়া দেখে সেখানে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় হতভাগা পিতার। প্রত্যক্ষদর্শীরা থানার নিকটস্থ ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলী আকবরকে মৃত ঘোষণা করেন।
আলী আকবরের ভাগ্নে মো. আলা উদ্দিন দাবী করেন, ছেলেকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে মামা দ্রুত ফেনী মডেল থানায় আসেন। সেখানে ছেলেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় দেখে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সাথে সাথে তাকে হার্ট ফাউন্ডেশনের হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তিনি সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সহসভাপতি ছিলেন। কোনো মামলা ছাড়া ছেলেকে গ্রেপ্তার করায় তিনি মেনে নিতে পারেননি।
ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. শাহনেওয়াজ মামুন বলেন, রাতে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।
পরিবারের দাবি, ফাহাদের নামে কোনো মামলা নাই। তবুও তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ফেনী মডেল থানার পুলিশের অনুরোধে আমাদের সহযোগিতায় ফাহাদকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, ফাহাদকে অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। তাৎক্ষনিক তার পিতার মৃত্যু হওয়ায় পরবর্তীতে হাজির হওয়ার শর্তে আত্মীয়-স্বজনদের জিম্মায় জামিন দেওয়া হয়েছে।