জুলাই আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় হত্যার পর ছয় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতদেরও একই কায়দায় শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহত পরিবারের স্বজনেরা। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে আশুলিয়ার শ্রীনগরে বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে এমন দাবি তোলেন তারা।
দিনের আনুষ্ঠানিকতার পর শুরুতেই শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয় সম্মাননা স্মারক এবং এককালীন আর্থিক সহায়তা। প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও।
এরপর জুলাই আন্দোলনের সময়কার স্মৃতিচারণ করেন আহত এবং নিহতদের স্বজনেরা। এ সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তারা। দ্রুত সময়ে বিচার করে দোষীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মরদেহও একইভাবে পোড়ানোর দাবি জানান তারা। শহীদ বায়েজিদ বোস্তামীর স্ত্রী রিনা আক্তার বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনার সঙ্গে তাদের সবার বিচার চাই। প্রয়োজনে আমরা আবারও মাঠে নামব।’
শহীদ সবুরের বাবা এনাম জাকির বলেন, হাসিনা পালানোর পর আমার ছেলেসহ ছয়টি মরদেহ পোড়ানো হয়। ঘটনার দিন বিকেল ৪টার পর আর পারিনি যোগাযোগ করতে। সন্তানের মুখটা পর্যন্ত দেখতে পারিনি। সরকারের কাছে দাবি জড়িতদের বিচার করেন, সুষ্ঠু বিচার। শহীদ বিপ্লবের স্ত্রী সাথী আক্তার বলেন, যদি আবারো স্বৈরাচার মাথা চাড়া দেয়, মোকাবিলায় আমি নিজে আমার ছেলে সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় নেমে যাব।
শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, ‘আমার বুকের ভেতরের আগুন তো সেদিনের মতোই জ্বলছে। আমি ছোটবেলায় যেমন খুশি তেমন সাজে ছেলে হারা মা সেজেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়ে যাব, তা কখনো কল্পনাও করিনি। আমার ছেলেকে যেভাবে মারা হয়েছে সেভাবেই তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে লাশও পুড়িয়ে দিতে হবে।’