রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
এদিন সকালে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক তৌফিক হাসান আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানারে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং উপস্থিত অন্যদের উসকানি দেন।
এতে উপস্থিত লোকজন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট স্লোগান দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের কারাগারে আটক রাখা জরুরি। ভবিষ্যতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখিসহ অন্যরা জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) থেকে লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্যদের আটক করে পুলিশ। তারা ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। পরে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে একদল লোক লতিফ সিদ্দিকীর ওপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ডিবি হেফাজতে নেয় এবং রাতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।