হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ে জীবনরক্ষাকারী ৭৩৯টি ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করবে। একইসঙ্গে ১৯৯৪ সালে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়া সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করে ১৯৯৩ সালের সরকারি গেজেট পুনর্বহাল করেছেন আদালত। সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এই সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল।
অন্যদিকে ওষুধ মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস কে মোরশেদ, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ এজাজ কবির। রায়ে বলা হয়েছে, দেশের অধিকাংশ ওষুধের দাম এখন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে থাকবে। স্বাস্থ্য সচিব, ডিজি হেলথ, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের রায়ের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার সরাসরি প্রভাবিত করে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের হাতে সীমিত করে দেয়া নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে। গত ১৭ আগস্ট সরকার জীবনরক্ষাকারী ওষুধের নতুন তালিকা তৈরির জন্য টাস্কফোর্স গঠন করে, যাতে অন্তর্ভুক্ত ওষুধের দাম সরকারকেই নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।