জুলাই মাসে খাদ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আগের মাস জুনে কিছুটা কম ছিল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষে প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলছে, অর্থবছরের প্রথম মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে, জুন মাসে যা ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ ছিল।
পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতির মানে হল, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা চলতি বছরের এপ্রিল কিনতে খরচ করতে হয়েছে ১০৮ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছর জুলাই মাসে আন্দোলনের ধাক্কায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে। জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পরের কয়েক মাস সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৯ ও ১০ শতাংশের মধ্যেই ওঠানামা করছিল।
এ বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে নেমে আসার তথ্য দেয় বিবিএস। জুনে তা আরও কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়, যা ছিল ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। কিন্তু এক মাস বাদে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এ সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। অথচ চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য পূরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদের উচ্চ হার ধরে রেখেছে।
বিবিএসের সবশেষ তথ্য বলছে, খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি জুন মাসের ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে বেড়ে জুলাই মাসে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়েছে। জুন মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জুলাই মাসে তা বেড়ে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জুলাই মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে, যা জুনে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ ছিল। আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুনের ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ থেকে বেড়ে জুলাই মাসে হয়েছে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এদিকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৩০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী হিসেব করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমান ২৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।